আব্দুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে নোভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ১১ বিজিবির প্রচারণা ও টহল অব্যাহত রয়েছে। গত ২৬ মার্চ থেকে দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের অংশ হিসেবে নাইক্ষ্যংছড়িতেও এ টহল অব্যাহত রয়েছে বলে বিজিবি জানান।

নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির অধিনায়ক ও জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল আসাদুজ্জামান বলেন, বান্দরবান সেনা রিজিয়ন কমান্ডারের নির্দেশনা অনুযায়ী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেনতার জন্য এই টহল পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিজিবির পক্ষ থেকে বিভিন্ন হাট বাজার সহ গাড়ি স্টেশনে হাত-মুখ পরিষ্কারের জন্য সাবান সহ হ্যান্ডওয়াশের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

টহলরত বিজিবির সুবেদার ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, বিজিবির টহল দলের সদস্যরা উপজেলার ঘুমধুম, তুমব্রু, নাইক্ষ্যংছড়ি, চাকঢালা, দোছড়ি, লেম্বুছড়ি, সোনাইছড়ি, বাইশারী ও বটতলীসহ বিভিন্ন হাটবাজার ও গ্রামগঞ্জে করোনাভাইরাস প্রচারণা ও সচেনতার জন্য জনসাধারণের মাঝে মাইকিং করা হচ্ছে।

বিজিবির সদস্যরা মাইকিং এ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টহল চলাকালীন সতর্কতা অবলম্বনের জন্য এবং সুস্থ ব্যক্তিদের করণীয় প্রসঙ্গে প্রচারণার মাধ্যমে জানিয়ে দিচ্ছেন ঘনঘন সাবান-পানি হ্যান্ড স্টেরিলাইজার দিয়ে হাত ধুতকরণ, যেখানে সেখানে কফ থুতু না ফেলা, হাত দিয়ে নাক-মুখ ও চোখ স্পর্শ থেকে বিরত থাকা হাঁচি-কাঁশির সময় টিস্যু অথবা কাপড় দিয়ে বাহুর ভাঁজে নাক-মুখ ঢেকে ফেলা, ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিনে ফেলা ও হাত পরিষ্কার করা, অসুস্থ পশু-পাখি সংস্পর্শ পরিহার, মাছ-মাংস ভাল করে রান্না করা, ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছে এমন ব্যক্তি সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা সহ নানা বিষয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।

তাছাড়া বিজিবির সদস্যরা মাইকিং এর মাধ্যমে হাট বাজার গুলোতে গণজমায়েত নিষিদ্ধ, অযথা রাস্তাঘাটে চলাফেরা না করা, সকল ব্যক্তিদের মাস্ক ব্যবহার করা এবং মুদি দোকান, ফার্মেসী নিত্য পণ্য সামগ্রীর দোকান খোলা রেখে অন্যান্য দোকানগুলো বন্ধ রেখে সকল জনসাধারণকে নিজ নিজ বাসস্থানে থাকার অনুরোধ জানান।