একটি অনুরোধ

প্রকাশ: ২৭ মার্চ, ২০২০ ০৯:২৮ , আপডেট: ২৭ মার্চ, ২০২০ ০৯:৪০

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


অধ্যাপক রায়হান উদ্দিন

ককসবাজারে বর্তমানে অনেক উন্নয়নের কাজ চলছে। সেটি নিশ্চই আমাদের পরম পাওয়া। আর সেটি একদিনে হয়নি। উন্নয়ন যত বাড়ছে সমস্যা তত প্রকট হচ্ছে। এর জন্য প্রশাসন চোখ রাখছে বিভিন্ন সমস্যার দিকে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন ,ককবাজার উন্নয়নকর্তৃপক্ষ জেলার সুশীলসমাজের লোকদের নিয়ে বিভিন্ন আলাপ আলোচনাও করে থাকেন।ককসবাজার যানজট নিয়ে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের একটি সিন্ধান্ত সবার নজরে এসেছে। এটি ছিল জেলার যত্র তত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাস কাউন্টার গুলো সরিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে।আমরা জানি এটি বছর দেড়েক আগেও একবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আর তারা এতো শক্তি শালী যে কয়েকদিন পর সেই একিই জাগায় আবার কাউন্টার খোলে বসেছে। এখনো বলতে শুনি ক্উান্টার সরালে যাত্রীসেবা রহিত হবে।ছিনতাইকারী বাড়বে ইত্যাদী বলতে শুনি।কিন্তু আমার প্রশ্ন বাস টার্মিনাল একটু শহরথেকে দুরে হয়েছে কি খুব অসুবিধা হয়েছে?আসলে যারা এসবকথা বলছেন,তারা রাস্তার সাথে লাগোয়া বিল্ডিং এ কতটুকু জায়গা পার্কিং এর জন্য রেখেছেন বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন কি?উনেøখ্য ককসবাজারে রাস্তার দুপাশে একটুও জায়গা খালি নেই।কোন বোন বসত বাড়ীর আদলেতৈরী বাড়ীকে হোটেল বানানো হয়েছে।রাস্তায় এক ইঞ্চি জায়গাও খালি নেই। এমনকি পার্কিং তো নেই। তার উপর পানির বুম মটর,টিউব ওয়েল ইত্যাদী পৌরসতার রাস্তার উপর বাসানো হয়েছে। খোজনিলে এরকম শদুয়েক পাওয়া যাবে।এসব উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের খোজ নিয়ে দেখা উচিত।সুউচ্চ সুন্দর সুপার মার্কেট করা হয়েছে , কয়টির পার্র্কিং আছে খোজ নিয়ে দেখা উচিত।এদিকে আমরা শুনতে পাচ্ছি মহাসড়কের কাজ শুরু হবে দেড় মাসের মধ্যে। এর আগেও কয়েকবার এই উদ্্েযাগ নেওয়া হয়েছিল। কিছুটা কাজও হয়েছিল।বছর দুয়েক আগে ককসবাজারের পৌরসভার এলাকাধীন কালুর দোকানের কাছে ময়লা আবর্জনাসহ পানি রাস্তায় উঠতে দেখে আমরা ভারপ্রাপ্ত মেয়র জনাব মাহবুবু সাহেবকে বলেছিলাম । উনি নিজে এসে রাস্তার পাশে যতটুকু পারেন নালা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু দিলে কি হবে ,দোকান দাররা এখন এই নালার উপর মালের পশরা সাজিয়ে তাও দখল করে নিয়েছে। মানুষ ঠিকমতো হাঁটতে পারছেনা।আমরা এও দেখেছি রাস্তার পাশে কোথাও একটু প্রশস্ত করে দিলে তাতে সি এনজি , অটো রিকটা সহ অনেকে জায়গা দখল করে বসে।এরকম অঘোষিত কয়টি সি এনজি, রিকসা স্টান্ড রয়েছে তা সরে জমিনে দেখলে জানা যাবে।খোদ বাজার ঘাটায় কউকের উন্নয়নের নাকের ডগায় কিভাবে সিনজির ছড়াছড়ি তা দেখলে অবাক হতে হয়। উপায় না দেখে মানুষ গরু, ছাগল কুকুর , গাড়ী একি রাস্তা দিয়ে চলছে। পৌরসভা, কউক সমন্বয় করে দেখলে বন্ধহবে। তাছাড়া কিছুদিন রাস্তা খারাপ বলে টম টম ওযালারা ভাড়া দ্বিগুন ত্রিগুন নিত ।এ বিষয়ে পৌরসভা সেই কবে একবার ভাড়া টাঙ্গিয়ে দিয়েছিলেন মনে নেই। কিন্তু অধিকাংশ টম টম ভাড়া নিচ্ছে খেয়াল খুশীমতো। এর কোন পর্যবেক্ষন কেউ করছেনা। উপরন্তু লাইসেন্স ইত্যাদীর জন্য মাইক নিয়ে ঘোষনা করতে দেখা যায়। যদি ভাড়া পাচটাকার জায়গায় দশটাকা নিতে হয় , তাদের মিটিং এ বলে দিলে তো হয়। এ দুর্মুল্যের বাজারে , কস্টের বাজারে ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়া হলো। তারা তা নির্ভয়ে বেয়াদপি না করে বলতে পারে। অনেক টুরিস্ট, সাধারন লোক এ নিয়ে বিরুপ মনোভাব পোষন করছেন। তারা খেয়াল খুশীমতো টাকা নিতে পারেন না।

এখন কভিট – ১৯ ভাইরাসের জন্য জরুরী অবস্থা চলছে। রাস্তায় অনেক গাড়ী কমে এসেছে। কমে এসেছে বললে ভুল হবে। সেনাবাহিনী নামছে বলে শৃংখলা ফিরে এসেছে। একসময় পাকিস্তানের আমলেও বাঘমার্কা বাহিনী আর্মি নামলে গাড়ী চালকরা কিরকম সুবোদ হয়ে যেতো , তা এখনো মনে পড়ে।দেশে আইন শৃঙখলা পরিস্থিতি সামাল দিতে সামরিক বাহিনীর সাহায্য খৃব প্রয়োজন। বলাই বাহুল্য রোহিঙ্গাদের সামলাতে আমাদের সামরিক বাহিনী যে কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে তা বাইরের এনাজিওরা কখনই পারতো না।তাই রাস্তাঘাট সহ অনেক নির্মানকাজে সামরিক বাহিনীর সহযোগীতা প্রয়োজন। উল্লেখ্য মেরিন ড্রাইব সড়ক কিভাবে সুরক্ষিত রেখেছেন তা একবার দেখে আসুন। পাশ্ববতীর্ গাছপালা নালা নর্দমা সব সুন্দর ।রাস্তায় একটুও ভাঙ্গাচোরা নেই।তাই মনিটরিং খুব দরকার। রাস্তা খারাপ হবেই । তা নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। এটি কোন মেগা প্রজেক্ট এর মতো খরচের কাজ নয়।

রাস্তার দুপাশে ভবন মালিকের উচিত অবৈধ স্থাপনা নিজে থেকেভেঙ্গে দিয়ে দু একটি গাড়ি নিজের স্থাপনাায় রাখার ব্যবস্থা করা। অবৈধ দখল ছেড়ে দেওয়া। সরকারের জায়গা সরকারকে ফিরিয়ে দিলে ভালোহয়। রাস্তার দুপাশে এপ্রোচিং সিড়ি, ফুটপাত দখল,নালা দখল,ইত্যাদী এখন সরকারের দেখার সময় এসেছে। ককসজার ফায়ার সার্ভিসের দুপাশে, কালুল দোকানের দুপাশে,বার্জিজ স্টোরের দুপাশে ,বাজার ঘাটার দুপাশে, শহীদ সরনীর দুপাশে সহ আরো অনেক পৈার এলাকাধীন রাস্তা কর্তৃপক্ষের দেখা উচিত।

এখানে একটা কথা না বললে নয়। টুরিস্ট আকর্ষনের জন্য আমরা যা ইচ্ছা তা করতে পারিনা। এটি কোন থাইলেন্ড পাট্টায়ার দেশ নয়।তাদের আদলে আমরা যা ইচ্ছ তা করতে পারিনা। ককসবাজার এসে ঢাকা সহ বিভিন্ন শহরের টুরিষ্টরা, আনন্দ বাজরা যা ইচেছ তা করতে পারেন না।এসবের ফলশ্রুতি আমরা দেখতে পাচ্ছি ,গাজাসহ , ইয়াবাসহ নানা অপকর্মে ভালোঘরের ছেলেরা জড়িয়ে যাচ্ছে।ইতিমধ্যে দুযেকটি ঘটনা যে ঘটেনি তা নয় ।পত্রপত্রিকা খোললে তা দেখা যায়। হোটেলে.রিসোর্টে আনন্দবাজরা সংস্কৃতির নামে কি কি করে বসে তা সরকারের , আইনশৃংখলাবাহিনীর নজরদারী করা প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে সংস্কৃতি চর্চাঅর্থ যা খুশী তা করা নয়। সংস্কৃতি চর্চার নামে কোথাও বেহায়াপনা করতে দেওয়া যাবেনা।আমরা এমন একটি দেশে থাকি যেখানে মানুষ ধর্মকর্ম করে থাকে। বাইরের লোক আমাদের দেশে আসলে কি কি কাস্টম মানতে হয় তা সরকার ভালো করে জানিয়ে দিয়েছে। ভালো চলাফেরা শুধু ছেলেদের কেন মেয়েদেরও দেখতে হবে। ছেলেদের শুধু চুল দেখলে হবেনা ছেলে মেয়েদের ড্রেস,চলাফেরা এগুলোও নিয়ন্ত্রনে আনা প্রয়োজন।এনজিওতে কাজ করি বলে আমাকে আমেরিকান হয়ে যেতে হবেনা।তাদের কালচারকে উগ্রভাবে গ্রহন করতে হবে না।মনে রাখতে হবে আমি বাঙ্গালী , আমার দেশ বাংলা দেশ। আমি বংলাদেশী।