আলমগীর মানিক,রাঙামাটি :
করোনা ভাইরাসের সংক্রামক থেকে রক্ষায় জনসাধারণের মাঝে সামাজিক দূরত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে রাঙামাটির সর্বত্রই রাস্তায় নেমেছে যৌথবাহিনীর অন্তত আড়াই হাজার সদস্য। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী-পুলিশ, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদের নির্দেশনায় ১০ উপজেলার ইউএনওসহ সর্বমোট ২২জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর নেতৃত্বে জেলার সর্বত্রই বেশ কঠোরভাবেই মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। রাঙামাটি শহরেই নামানো হয়েছে ৫টি মোবাইল কোর্ট টিম।
এসময় রাস্তায় কাউকে বিনা কারনে দাড়াঁতেও দিচ্ছেনা এবং অনেককেই কানে ধরিয়ে উঠবস করাতেও দেখা গেছে। একজনের বেশি কোনো পথচারিকে হাটতে দেখলেই সুনির্দিষ্ট্য কারন জানতেই চাইছে শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা। অন্যথায় লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দিচ্ছে জটলা সৃষ্টিকারিদের। সরকারি নির্দেশনানুসারে এক তৃতীয়াংশ দোকানপাট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় এবং একমাত্র বাহন অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ থাকায় অঘোষিত লক ডাউনের শহরে পরিণত হয়েছে রাঙামাটি শহর।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ জানিয়েছেন, আমরা জনগণকে ঘরে রাখতে এবং তাদের মাঝে সামাজিক দূরত্ব সৃষ্টিতে ২২জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটর এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর ৬টি ট্রাস্কফোর্সসহ পুলিশ-বিজিবি ও অন্যান্য বাহিনীর সহায়তায় রাঙামাটির আটটি উপজেলায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই স্থানীয় জনসাধারণকে ঘরে রাখতে কাজ শুরু করেছি। এছাড়া জেলার লংগদু ও বাঘাইছড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে, স্থানীয় থানা পুলিশসহ খাগড়াছড়ি রিজিয়নের অর্ন্তধীন লংগদু সেনাজোন ও বাঘাইহাট জোনের সেনা ও বিজিবি’র সদস্যগণ কাজ করছে। জেলার কাপ্তাই ও কাউখালী উপজেলায় অতিরিক্ত দুইজন ম্যাজিষ্ট্রেটকেও দায়িত্ব পালনে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ছুফি উল্লাহ জানিয়েছেন, সরকারের সময়োপযোগি সিদ্ধান্ত অনুসারে আমরা অনেকটাই নিরাপদ রয়েছি। এখন আমাদের সকলেরউ উচিত নিজেদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা। সামাজিক দূরত্ব যতই বাড়ানো যাবে, করোনার সংক্রামক থেকে জনগণই ততই রক্ষা পাবে। তাই আমরা এখন জনসাধারণকে প্রাথমিকভাবে বুঝিয়ে বলছি, কাজ নাহলে আমরা একটু কঠোর হচ্ছি। এরপর আমরা আরো কঠোর হবো এবং প্রয়োজনে আইনের সর্বোচ্চটুকু প্রয়োগ করবে পুলিশ। এক প্রশ্নের জবাবে জনাব ছুফি উল্লাহ জানান, রাঙামাটিতে পুলিশের ১২টি থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, স্থানীয় ক্যাম্পসহ সেনাবাহিনী-বিজিবি ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রায় আড়াই হাজার সদস্য সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করছে।