অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিপর্যস্ত ইরানে আকস্মিক বন্যায় অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রবল বর্ষণের কারণে ১৯টি প্রদেশে সৃষ্ট এ বন্যায় আহত হয়েছেন আরও ১৭ জন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ইরানের সড়ক ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী মোহাম্মাদ ইসলামি বলেছেন, বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোর রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খবর তাসনিম নিউজ এজেন্সি।

বন্যার পানিতে আটকেপড়া মানুষের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো মেরামতের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে বলেও জানান তিনি।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এ দেশটিতে আকস্মিক বন্যা এখানকার মানুষের দুর্ভোগে নতুনমাত্রা যোগ করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইরান সরকার রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা জারি করেছে।

ইরানের যেসব প্রদেশে বন্যা দেখা দিয়েছে, সেগুলো হচ্ছে- পূর্ব আজারবাইজান, বুশেহর, চাহারমাহাল-বাখতিয়ারি, দক্ষিণ খোরাসান, খোরাসান রাজাভি, উত্তর খোরাসান, খুজিস্তান, সেমনান, সিস্তান-বেলুচিস্তান, ফার্স, কাজভিন, কোম, কেরমান, কুহকিলুয়েহ-বুয়েরআহমান, গুলিস্তান, গিলান, মাজান্দারান, মধ্যপ্রদেশ ও হরমুজগান।

এদিকে ইরানের রেড ক্রিসেট সোসাইটির ত্রাণ ও উদ্ধার কমিটির প্রধান কর্মকর্তা মুর্তজা সালিমি জানিয়েছেন, তার কর্মীরা বন্যাদুর্গত ১৯টি প্রদেশে ব্যাপক উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে।

সারা দেশের ৬১টি শহর ও গ্রাম এবং ৯টি পাহাড়ি এলাকায় ১০০টি উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে জরুরি খাদ্য, ওষুধ ও ত্রাণ বিতরণ চলছে বলেও জানিয়েছেন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির এ কর্মকর্তা।

ইরানে যখন ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। ১৯৩৪ জন মারা গেছে করোনায়। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও নতুন করে ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলছে, তখন দেশটিতে বন্যা দেখা দিল।
-যমুনা