সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁহ
কক্সবাজারে প্রথম করোন আক্রান্ত রোগী মুসলিমা খাতুনের গ্রামের বাড়ি চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে সেনাবাহিনীর টহল লক্ষ্য করা গেছে।

বুধবার (২৫ মার্চ) বিকেল থেকেই সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি গাড়ি বাজার ও আশপাশের সড়কে টহল দেয়।

এ সময় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্তিমিত হয়ে যায়। সেনা টহল দেখে অনেকে আতঙ্কিত হয়।

কোনো জায়গায় বেশি লোকজন যেন সমবেত হতে না পারে, সবাই যেন নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাফেরা করে এবং যথাযথভাবে সরকারী নির্দেশনাসমূহ মেনে চলে সেনাবাহিনী এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করেন।

এসময় প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতের কাজে বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করেন সেনাবাহিনী।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া গেলে তাদের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও সেনাবাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবেন বলে জানান।

বুধবার (২৫ মার্চ) বিকাল থেকে খুটাখালীতে বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেনাবাহিনী মাঠে নামার পর থেকেই সাধারণ মানুষের বাহিরে আসার প্রবণতা কমে এসেছে। রাস্তাঘাটে খুব কম সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে।
অনেক এলাকা প্রায় জনমানবশূন্য। বাস ষ্টেশনসহ বাজারের প্রতিটি অলিগলিও জনমানব শূন্য অবস্থায় দেখা গেছে।
ইউনিয়নের রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়।
সেনাসদস্যরা মাইকিং করে, লিফলেট বিতরণ করে এবং প্রেষণার মাধ্যমে বাহিরে অবস্থানরত লোকদের ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য তাগিদ দিচ্ছেন।