গত ২১ মার্চ কক্সবাজার একাত্তর পত্রিকায় প্রকাশিত ‘খুরুশ্কুলে হাতুড়ি দিয়ে মেরে পঙ্গু বড়ভাইয়ের দাঁত ফেলে দিলো ছোটভাই’ শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদের প্রকাশিত সংবাদের জের ধরে হামলার হুকুমদাতা বানিয়ে দায়ের করা মামলায় আমাকে তিন নাম্বার আসামী করা হয়েছে। এটা অত্যন্ত জঘন্য ও ষড়যন্ত্রমুলক। কারণ ওই হামলার ঘটনার সাথে আমাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ- কোনোভাবেই সম্পর্ক নেই। মূলত এদের জনের অংশের জমি আমি ক্রয় করেছি তাই- ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে আমাকে ঘটনার কাল্পনিক হুকুমদাতা বানিয়ে দায়ের মামলায় আসামী করা হয়েছে।

প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে আমি একজন চাকরিজীবী। ২০১৫সাল থেকে দীর্ঘ পাঁচ আমি সাতক্ষীরায় নওয়াবেকী হ্যাচারী /নার্চারী তুফান কোম্পানী একটা প্রতিষ্ঠান টেকনিশিয়ান হিসেবে কর্মরত আছি। আমার পরিবার নিয়ে আমি সাতক্ষীরায় স্থায়ীভাবে বাস করছি। কালেভাদ্রে দেশের বাড়ি যাওয়া হয়। কিন্তু যাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়েছে তাদের একজনের অংশের সামান্য জমি ক্রয় করায় ক্ষুব্ধ হয়ে ষড়যন্ত্র ও ঈর্ষান্বিতভাবে আমাকে মামলা আসামী করা হয়েছিলো। এই ষড়যন্ত্র দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে ওই পক্ষ। এর আগেও আদালতে আমাকেসহ আসামী করে আরেকটি মামলা করেছিলো। কিন্তু সাক্ষ্য-প্রমাণে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হই এবং আমাকে মামলা থেকে খালাস দেন বিজ্ঞ আদালত। ওই মামলায় আমাকে জড়াতে না শেষে আবারো ষড়যন্ত্রমুলকভাবে তাদের মধ্যে সংঘটিত ঘটনায় আমাকে হুকুমদাতা সাজিয়ে সংবাদ পরিবেশন এবং একই ঘটনাকে পুঁজি করে আমাকে আবারো মিথ্যাভাবে আসামী করা হয়েছে।

পরিশেষে আমি আমাকে জড়িয়ে প্রকাশিত সংবাদের অংশের তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং আমাকে মিথ্যাভাবে পরিকল্পিতভাবে আসামী করায় ক্ষোভ প্রকাশ করছি। একই সাথে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আকুল আবেদন জানাচ্ছি।

নিবেদক
নেজামুল হক
টেকনেশিয়ান, নওয়াবেকী হ্যাচারী

নার্চারী তুফান কোম্পানীর একটা প্রতিষ্ঠান, নওয়াবকী, সাতক্ষীরা