ইমাম খাইর, সিবিএন
গ্রীসের রাজধানী এথেন্সে বসবাস করেন কক্সবাজারের বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম বিএসসি। জীবিকার তাগিদে স্বদেশ ছেড়ে বিদেশ পাড়ি দেন। গত কয়েক বছর বেশ ভালোই কাটছিল প্রবাসে। নির্ধারিত কর্মের পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকতাও করেন। সমসাময়িক বিষয়ে লিখেন। মাঝেমধ্যে নিউজ পাঠান কক্সবাজার নিউজ ডটকম (সিবিএন)এ।
জহিরুল ইসলাম বিএসসি, ইউরো বাংলা প্রেসক্লাব ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম কমিউনিটি ইন গ্রিস-এর সাধারণ সম্পাদক।
বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে আতঙ্ক করোনা ভাইরাসের কারণে অনেকটা বন্দিদশায় জীবন কাটছে তার। বাসা থেকে বের হতে পারেন না। বাসায় কিনে রাখা খাবার দাবারও ক’দিন পরে ফুরিয়ে যাবে। তাতে চিন্তিত নন জহির। ভাবেন আমাদের নিয়ে। স্বজন ছেড়ে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করে চরমভাবে অনুভব করছে দেশমাতৃকার সবুজ শ্যামল দৃশ্য। নিজের চেয়ে দেশ ও স্বজনদের নিরাপত্ত্বায় উদ্বিগ্ন। টেনশন করেন সারাক্ষণ। আমরা দোয়া করি, প্রিয় জহিরুল ইসলামের জন্য।
সুদূর গ্রীসের রাজধানী এথেন্স থেকে নিজ এলাকা, স্বজন ও দেশবাসীর জন্য দু’কল লিখা পাঠিয়েছেন রেমিটেন্সযোদ্ধা জহিরুল ইসলাম বিএসসি।

করোনা পরিস্থিতিতে আপডেট করা নিজের প্রোফাইল পিকচার।

Zahirul Islam

এর আকুতিমাখা লিখা হুবহু তুলে ধরা হলো-
উন্নত দেশগুলোতে জনগণ যে পরিমাণ নাগরিক সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে বিশেষ করে স্বাস্থ্য সেবা থেকে শুরু করে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনের সকল কিছু। সেদিকের তুলনায় বাংলাদেশের জনগণ (বেশির ভাগ) নাগরিক সুবিধা বলতে স্বপ্নেও দেখেনি । উন্নত দেশে যারা বসবাস করছি তুলনামূলকভাবে তা আমরা বুঝতে পারতেছি।

আমাদের দেশে যখন হাই প্রোফাইলের আমলা-নেতারা সামান্য অসুস্থ হয়, তারা সাথে সাথে বিদেশ পাড়ি জমায়। আর আমার দেশের খেটে খাওয়া মানুষগুলো আল্লাহর কুদরতের মাধ্যমে কোন রকম ভাবে বেঁচে আছে, যাকে কখনো সঠিকভাবে বেঁচে থাকা বলা যায় না।

সে দিক দিয়ে আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে যেটা বিশ্বাস করি, মহান আল্লাহ পাকের কুদরতের রহমতে আমাদের দেশের সেই অসহায় মজলুম খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে বর্তমান করোনা ভাইরাস নামক মহামারীর হাত থেকে আল্লাহপাক রক্ষা করবেন, ইনশাআল্লাহ।

মনে রাখবেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় কেউ ছিলনা। কিছুই ছিল না। তারপরও যার যা আছে তাই নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। ঠিক একইভাবে আজকের কঠিন পরিস্থিতির হাত থেকে নিজেকে, পরিবারকে, তথা সমাজ ও দেশকে রক্ষা করার জন্য শুধুমাত্র নিজ দ্বায়িত্বে নিজেদের গৃহে আবদ্ধ হই। ইনশাআল্লাহ, এই গজব থেকে খুব অল্প সময়েই আমরা মুক্তি পাব ।

আতঙ্কিত না হয়ে, কারো নির্দেশের অপেক্ষা না করে, পরিচ্ছন্নতাকে পূজি করে শুধুমাত্র সচেতন হয়ে ঘরে আবদ্ধ হই। এতেই আমাদের মুক্তি মিলবে।

দিনে এনে দিনে খেয়ে বেঁচে আছে বাংলাদেশে মিলিয়ন মিলিয়ন লোক। তারপরও বলছি, যতটুকু রয়েছে বা কিছুই না থাকলেও অন্তত পানি খেয়ে হলেও ২০/২৫ টা দিন ঘরে থাকুন। তা না হলে, বাংলাদেশের মানুষের মৃত্যুর মিছিলটি বড়ই দীর্ঘ হবে।আবেক নয়, বিবেক দিয়ে সিদ্ধান্ত নিন। প্লিজ।