সিবিএন ডেস্ক : গাজীপুরের কাপাসিয়ায় কোয়ারেন্টিন কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে ছবি তোলায় একজন ফটো সাংবাদিককে (৩৫) একই কোয়ারেন্টিন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। কোয়ারেন্টিন কেন্দ্রটিতে ইতালিফেরত সাত ব্যক্তির সংস্পর্শে যাওয়ায় সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়েন ওই সাংবাদিকও।
এতে গতকাল শনিবার রাতে তাঁকেও কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। কোয়ারেন্টিনে পাঠানো ওই সাংবাদিক একটি বেসরকারি টেলিভিশনের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধির ক্যামেরাপারসন বলে জানা গেছে।
কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. ইসমত আরা জানান, গতকাল বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কাপাসিয়ার পাবুর ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে স্থাপিত কোয়ারেন্টিন কেন্দ্রের সামনে যান ওই ফটো সাংবাদিক। পরে ফটকে থাকা একজন আনসার সদস্যকে ভুল বুঝিয়ে কেন্দ্রের ভেতর ঢুকে পড়েন।
তিনি আরো জানান, ওই কোয়ারেন্টিন কেন্দ্রে ইতালিফেরত সাতজন ব্যক্তি রয়েছেন। তাঁদের সংস্পর্শে যাওয়ায় ওই সাংবাদিকও সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়েন। এতে তাঁকেও একই কেন্দ্রে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম জানান, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই নিয়ম না মেনে কোয়ারেন্টিন কেন্দ্রের ভেতর ঢুকে পড়েন ওই ফটো সাংবাদিক। স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পুলিশের সহযোগিতায় একটি অ্যাম্বুলেন্সে ওই সাংবাদিককে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ ও ১৬ মার্চ জ্বর থাকায় পূবাইলের মেঘডুবি ২০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের কোয়ারেন্টিন থেকে আটজনকে দুই দফায় রাজধানীর উত্তরায় কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। যাঁদের একজনের মধ্যে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। পরে গত ১৮ মার্চ বাকি সাতজনকে পাবুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
– বাংলাদেশ টুডে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।