মুহাম্মদ জুবাইর, টেকনাফ (কক্সবাজার):

ভারত থেকে আসা ৪ সদস্যের এক রোহিঙ্গা পরিবারকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে ক্যাম্প ইনচার্জ। পরিবারটি ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে খুলনা হয়ে সড়ক পথে সোমবার ভোর পাঁচটায় লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প (নং ২৪) ই ব্লকে শ্বাশুর মোস্তাক আহম্মদের বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছিল।

বিষয়টি জানাজানি হলে দুপুর ১২ টার দিকে পার্শ্ববর্তী রোহিঙ্গারা ক্যাম্প ইনচার্জ আব্দুল হান্নানকে অবগত করলে তাদের কে হেফাজতে নিয়ে আসা হয়। তারা হলেন মোঃ ছাদেক (২৫), স্ত্রী হোসনে আরা (২৩), ছেলে পারভেজ ( ৩) ও মেয়ে সাজেদা (১০ মাস)।

সুত্রে জানা যায়, রোববার রাতে ভারতের হায়দারাবাদ হতে অবৈধভাবে বাংলাদেশের খুলনা সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করে। সেখান থেকে সড়ক পথে ২৩ মার্চ (সোমবার) ভোরের দিকে লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প (নং ২৪) ই ব্লকের বসবাসকারী শ্বাশুর মোস্তাক আহম্মদের বাড়ীতে গোপনে আশ্রয় নেয়। একপর্যায়ে বিষয়টি আশপাশে চাওর হলে ব্লক মাঝি বিষয়টি ক্যাম্প ইনচার্জকে অবহিত করেন। তিনি তাৎক্ষনিক ভাবে উক্ত রোহিঙ্গা পরিবারটিকে ইউএনএইচসিআর এর মাধ্যমে আইওএম হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রেরন করেছে ।

সিআইসি আব্দুল হান্নান সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ৪ সদস্যের এক রোহিঙ্গা পরিবারকে ইউএনএইচসিআর এর মাধ্যমে বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প (নং-৭) আইওএম হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রেরন করা হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গাদের অবৈধ যাতায়াত টেকনাফকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। তিনি আরো বলেন, বিদেশ ফেরতদের কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করতে গিয়ে অনেককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে এরা রোহিঙ্গা। তাই উদ্বেগ বাড়ছে এখানে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এর নেতৃত্বে আইন-শৃংখলা বাহিনীর একটি দল বাহারছড়া ইউনিয়নে মারিশবনিয়ার সৌদি ফেরত মৌলভী মোহাম্মদ শফির পুত্র সালামত উল্লাহর বাড়ি গমন করেন এবং হোম কোয়ারান্টাইন না মানায় তাকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ১৮৬০ সালের ফৌজদারী দন্ডবিধির ২৭০ ধারায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এ দন্ডাদেশ প্রদান ও দুবাই ফেরত বাহারছড়া মাথাভাঙ্গার কবির আহমদের পুত্র আবু তাহের ও সুলতান আহমদের পুত্র আব্দুল হামিদকে সতর্ক করা হয়।

এদিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হতে বাঁচতে বিদেশ ফেরতদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার প্রশাসনিক নির্দেশ থাকলেও অনেকে নির্দেশনাকে অমান্য করে তথ্য গোপন করে বাড়ী ঘরে থাকার চেষ্টা করছে। তবে প্রশাসন সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। বিদেশ ফেরত কোন ব্যক্তি কোয়ারান্টাইনে না থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনীগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা রয়েছে।