আবদুল মালেক সিকদার , রামু :
রামুতে পাওনা টাকা নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে বিচার দেওয়া কে কেন্দ্র করে বড় ভাইয়ের বদলে ছোট ভাই শাহাব উদ্দিন  কে সন্ত্রাসীরা মারধর করে  রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ উঠছে। এই ব্যাপারে শাহাবুদ্দিনের বড় ভাই আমিরুল কবির বাদী হয়ে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে অজ্ঞাত নামা সহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে রামু থানায় অভিযোগ দায়ের করে। ঘটনাটি ঘটেছে ২১ মার্চ বিকাল ২ টার সময় উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের হাফেজ পাড়া এলাকায়।

থানার অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, হাফেজ পাড়া এলাকার মৃত আবদুল জলিলের ছেলে নুরুল আজিম গরু ব্যবসার ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা হাফেজ পাড়া এলাকার মনির আহাম্মদ প্রকাশ মনুর ছেলে মোস্তাক আহাম্মদ থেকে পাওনা আছে। নরুল আজিম বিভিন্ন সময় মোস্তাক আহাম্মদ থেকে পাওনা টাকা চাইলে টাকা না দিয়ে উল্টো হুমকি দে। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই বিষয়ে নুরুল আজিম স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে মোস্তাক আহাম্মদের বিরুদ্ধে বিচার দে।স্থানীয় মেম্বার সৈয়দ নুর ২১ মার্চ বিকালে সালিশী বৈঠক করার জন উভয় পক্ষকে আসার জন্য নির্দেশ প্রদান করে। ঐ দিন বিকাল ২ টার দিকে নুরুল আজিমের ছোট ভাই শাহাব উদ্দিন নিজের ক্ষেত হইতে মরিচ নিয়ে নিজ বাড়িতে আসার পথে গালি গালাজ করে প্রাণ নাশের হুমকি দে মোস্তাক আহাম্মদ। এক পর্যায়ে মোস্তাক আহাম্মদ ও তার সহযোগীরা উত্তেজিত হয়ে বলে মেম্বারের কাছে তোর ভাই নুরুল আজিম আমার বিরুদ্ধে কেন বিচার দিয়েছে এই কথা বলে স্থানীয় মেম্বার, চৌকিদার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে মোস্তাক আহাম্মদের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা শাহাব উদ্দিন কে পরিকল্পিতভাবে দা দিয়ে মাথায় কোপ মারে, লাটি ও লোহার রড় দিয়ে শরিরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে এবং মোবাইল ছিনাইয়া নে । এলাকাবাসী দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে শাহাব উদ্দিন কে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। শাহাব উদ্দিন বর্তমানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।যে কোন সময় বড় ধরনের ঘটনা হওয়ার আশংকা রয়েছে। বাদী আমিরুল কবির জানান আমার ভাই কে মারধর করায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমি রামু থানায় অভিযোগ করায় বর্তমানে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। নারী ও শিশু নির্যাতনসহ যেকোনো মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আমার পরিবারের ক্ষতিসাধন করার হুমকি ও দেন। সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।