মিছবাহ উদ্দিন :
বর্তমান বিশ্বে রাজত্ব করছে করোনা ভাইরাস নামের এক মরণব্যাধি । যার আতঙ্কে পুরো বিশ্ব হতভম্ব। অথচ এ বিষয়ে কোন সতর্কতার বালাই নেই ঈদগাঁওতে। আগের মতোই চলছে সব নিয়ম কানুন। সরকারের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাস সতর্কতার অংশ হিসাবে স্কুল-কলেজসহ সব ধরনের সভা-সমাবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি অযথা আড্ডা না দেওয়া, একজন অপরজনের কাছ থেকে দুরত্ব বজায় রাখা, সদ্য বিদেশ থেকে আসা লোকজন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা, বিশেষ প্রয়োজন না হলে বাড়ি থেকে বের না হতে বার বার নির্দেশনা দিলেও কেউ তা মানছে না। এ দিকে করোনা আতঙ্ককে কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়েছে অনেক গুণ। এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের উদ্যোগে মাইকিং ও প্রচারপত্রের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
কেননা মরণব্যাধি এ ভাইরাস থেকে নিজেকেও নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে এ বিষয়ে ধারণা থাকা আবশ্যক। কক্সবাজার সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁওর পাড়া মহল্লা বা একদম তৃৃৃণমূলের লোকজন করোনা ভাইরাসের বিষয়ে সচেতন নেই বল্লেই চলে। অনেকে ঘরবাড়ীর আশপাশ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেনা। এমনকি গ্রামীন জনপদের শিক্ষার্থীরা ও বিদেশ ফেরত লোকজন বাহিরে নিজেদের ইচ্ছেমতো চলাফেরা অব্যাহত রেখেছে। কেননা ব্যস্তবহুল এলাকা কিংবা শহর কেন্দ্রীক করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতামুলক প্রচারনা অব্যাহত থাকলেও সেই তুলনায় বৃহত্তর ঈদগাঁওর পাড়া মহল্লার লোকজনকে সচেতন করা হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখা অতীব জরুরী। বিশেষ করে করোনাভাইরাস রুধে সদ্য বিদেশ থেকে আসা লোক গুলোকে দ্রুত হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।