সিবিএন ডেস্ক:
শনিবার ভোর ৬টা থেকে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম অভিযান শুরু করেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর পেঁয়াজের আড়তে। প্রথমে সাদা পোশাকের র‌্যাব অফিসারদের নিয়ে আড়তে ঢুকে দেখেন কীভাবে কোনো কারণ ছাড়া সাধারণ মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে ৩-৪ গুণ বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মূল্যে পেঁয়াজ ও আলু বিক্রির কারণে যাত্রাবাড়ীতে ৫০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং পাঁচ ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন তিনি।

অভিযান শেষে অভিযানের অভিজ্ঞতা নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের কারবারে ব্যথিত হয়ে তিনি লিখেছেন, ‘ভাবতেই কষ্ট হয় তিন দিন আগেও প্রতি কেজি পেয়াঁজ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ২৮-৩১ টাকা। সেটা কোনো কারণ ছাড়াই গতকাল বিক্রি করেছে ৬৫-৭০ টাকা। খুচরা বাজারে ৮০-৮৫ টাকা। ১২-১৪ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি হতো আলু, সেটা করে ফেলল ২৫-৩০ টাকা। আজ সকালে যখন যাত্রাবাড়ী আড়তে ক্রেতা সেজে ইউনিফর্ম ছাড়া ফোর্স নিয়ে প্রবেশ করলাম তখনও দেখলাম গতকালের চিত্র। কিন্তু যখনই বুঝল মোবাইল কোর্ট আসছে তখনই পেয়াঁজ হলো ৩৫-৪০ টাকা আর আলু হলো ১৪-১৬ টাকা কেজি।’

‘অতিরিক্ত মূল্যে পেঁয়াজ ও আলু বিক্রি করায় যাত্রাবাড়ীর ৩১টি আড়তকে এবং আমদানিকৃত মেয়াদোত্তীর্ণ মাছ মজুত করায় একটি হিমাগারকে মোট ৫০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন র‌্যাব-১০ এর সহযোগিতায় পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।’

তার এ পোস্ট মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তার পোস্টে ৩ হাজার লাইক, ৪০০’র বেশি কমেন্ট ও তার ওয়াল থেকে ২৩৩টি শেয়ার হয়।

ব্যবসায়ীদের ওপর ব্যথিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বার্তা দেন দেশবাসীকে। ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘জনগণ ও ক্রেতাদের অনুরোধ করব, আপনারা একই সঙ্গে দু-তিন মাসের বাজার করবেন না। আপনারা সর্বোচ্চ সাত দিনের বাজার করতে পারেন। সবাই এভাবে কেনাকাটা করতে গেলে দাম বাড়িয়ে ফেলবে তারা। আমরা পাইকারি-খুচরা বাজারে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। কে কত টাকা নিচ্ছে, তা নজরদারি করছি। সব ক্রেতাকে অনুরোধ করছি, আপনারা ভাউচার ছাড়া কেউ পণ্য ক্রয় করবেন না। আমরা দেখতে চাই কে কোন পর্যায়ে কত টাকা বাড়িয়েছেন।’