মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

করোনা ভাইরাস (COVID-19) পরিস্থিতি যদি কক্সবাজারে আরো অবনতি হয়, প্রয়োজনে বিচ্ছিন্ন এলাকার আবাসিক হোটেল রিকুইজিশন দিয়ে সেখানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইন তৈরি করা হবে। এজন্য গত ২০ মার্চ কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহীদ এটিএম জাফর আলম সিএসপি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত কক্সবাজার জেলা কমিটির সভায় প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আবাসিক হোটেল রিকুইজিশন দেওয়া সহ এ সংক্রান্ত অন্যান্য কাজের জন্য প্রয়োজনে কমিটি তাৎক্ষণিক আবার বৈঠকে বসবে। হোটেল বাছাই সহ এ বিষয়টি বেশ কিছুদূর এগিয়ে রাখা হয়েছে। যাতে প্রয়োজন হলে কার্যকর করতে আর বিলম্ব না হয়।

কক্সবাজার করোনা ভাইরাস (COVID-19) প্রতিরোধে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনের স্থাপনা নির্ধারণ করা হয়েছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান সিবিএন-কে এ তথ্য জানান। তিনি আরো বলেন, কক্সবাজার জেলায় এ পর্যন্ত কোন করোনা ভাইরাস (COVID-19) জীবাণু আক্রান্ত ব্যক্তি সনাক্ত করা হয়নি। শনিবার ২১ মার্চ বিকেল ৫ টা পর্যন্ত ১১২ জন বিদেশ ফেরত ব্যক্তিকে হোম কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে।

কক্সবাজারে করোনা ভাইরাস (COVID-19) জীবাণু পরীক্ষার কীট আছে কিনা-এ প্রশ্নের উত্তরে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্ণধার সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান সিবিএন-কে বলেন, ঢাকার বাইরে কোথাও করোনা ভাইরাস (COVID-19) জীবাণু পরীক্ষার কোন ল্যাব আপাতত নেই। কক্সবাজারে কেউ করোনা ভাইরাস (COVID-19) জীবাণু আক্রান্ত হয়েছে বলে দৃঢ় ধারণা করা হলে, সে তথ্য ঢাকাতে পাঠানো হবে। এখানকার স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে ঢাকা থেকে দ্রুত টেকনিশিয়ান এসে তারা প্রয়োজনীয় পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে।

সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান সিবিএন-কে আরো বলেন, স্বাস্থ্য সদর দপ্তর ঢাকার বাইরে ৪ টি করোনা ভাইরাস (COVID-19) জীবাণু পরীক্ষার ল্যাব স্থাপন করার কথা চিন্তাভাবনা করছে। সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় রেখে এরমধ্যে একটি ল্যাব কক্সবাজারে স্থাপনের সম্ভাবনা খুব বেশী। কক্সবাজারে ল্যাব স্থাপন করার সিদ্ধান্ত হলেও, সেটা স্থাপন করতে আরো ১২/১৩ দিন সময় লাগবে বলে তিনি জানান।