আতিকুর রহমান মানিক

উখিয়া উপজেলার পালংখালীতে বনবিভাগের জমি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে নতুন রোহিঙ্গা বাজার। উখিয়া টিভি রিলে কেন্দ্রের পশ্চিম দিকে ৭ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ব্লক এলাকায় রাতারাতি দুই ডজনাধিক দোকান নির্মান করে এ বাজার গড়ে তোলে স্হানীয় কতিপয় প্রভাবশালী। রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে মোটা অংকের অগ্রীম সালামি নিয়ে এসব দোকান নির্মান করে ছাত্তার নামক এক ব্যক্তির নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেট। এতে আরো জড়িত রয়েছেন এক ইউপি মেম্বার।
প্রাপ্ত তথ্যে প্রকাশ, সপ্তাহখানেক আগে উপরোক্ত এলাকার ঘন জঙ্গল ও গাছপালা কেটে রাতারাতি এসব দোকান নির্মান করা হয়।
আর এসব দোকান ভাড়া দেয়ার জন্য সালামী বাবদ রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ছাত্তার ও স্হানীয় মেম্বার আবছারের নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেট।
৭ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ব্লক এলাকায় বসবাসরত রোহিঙ্গা নূর কালামের ছেলে মোঃ আয়াছ, আবদুল করিমের ছেলে আবদুল্লাহ, জামাল হোছাইনের ছেলে ইউনুছ, ফয়েজ আহমদের ছেলে ঈসমাইল ও আবদু শুক্কুরের ছেলে নূরুল কালাম প্রমূখ ছাত্তারকে টাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে। দোকান ভাড়া দেয়ার জন্য অগ্রীম সালামী হিসাবে এসব টাকা নেয় ছাত্তার।
এসব ছাড়াও বনবিভাগের আরো জমি জবর দখলে রেখে রোহিঙ্গাদের নিকট ভাড়া দিয়েছে ছাত্তারের নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেট। এসব জমিতে পানি সেচ দিতে স্হানীয় মেম্বার আবছার ও ছাত্তার মিলে উপরোক্ত এলাকার একটি পাহাড়ী ছড়ায় কিছুদিন আগে বাঁধ দেয়। এতে ছড়ার পানি আটকে গিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন সময় এই পানিতে ডুবে প্রাণ হারায় ৪ জন রোহিঙ্গা শিশু। এদের মধ্য দিল কায়েছ নামে এক আড়াই বছরের একজনের নাম পাওয়া গেছে। নিহত দিল কায়েছ ডি ব্লক এলাকার রোহিঙ্গা হাফিজুর রহমানের ছেলে।
কিন্তু অভিযুক্ত ছাত্তার নিজকে “বন জায়গীরদার ও ভিলেজার” হিসাবে অখ্যায়িত করে এসব পাহাড় তার নিজের দাবী বলে দাবী করেন। রোহিঙ্গাদের থেকে টাকা নেয়ার কথাও অস্বীকার করেন তিনি।
অপর অভিযুক্ত আবছার মেম্বার ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
সাত নাম্বার ক্যাম্পের সিআইসি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ শাহজাহান বলেন, বন বিভাগের জমিতে নির্মিত এসব দোকান শীঘ্রই উচ্ছেদ করা হবে। উক্ত ছাত্তার ও আবছার মেম্বারের কারনে রোহিঙ্গা ক্যাম্প প্রশাসনে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে জানিয়ে সিআইসি আরো বলেন, তাদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্হা নেয়া হবে।