মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

বিদেশ থেকে কোন প্রবাসী সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ফিরেছেন কিনা-তা যাচাই করতে বিমানবন্দরে প্রদত্ত বিদেশ ফেরত ব্যক্তির বাম হাতের কনুই এর নীচে কব্জির উপরে ইমিগ্রেশন বিভাগ পুলিশের একটা সুনির্দিষ্ট সীল (উপরের ছবির মতো) আছে কিনা যাচাই করতে পারেন অতি সহজে। বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর বিদেশ ফেরত যাদের টেম্পারেচার (শরীরের তাপমাত্রা) স্বাভাবিক থাকবে, তাদেরকে এই সীল দেয়া হচ্ছে ইমিগ্রেশন পুলিশের পক্ষ থেকে। তারা অবশ্যই নিজ বাসা/বাড়িতে কোয়ারান্টাইনে থাকবেন সীলে উল্লেখিত নির্ধারিত তারিখ পর্যন্ত। এরকম সীলমোহরযুক্ত বিদেশ ফেরত মানুষগুলো যেন নির্ধারিত সময় পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকে।

তাদের বাইরে লোকালয়ে দেখলেই বাড়িতে/বাসায় থাকতে পরামর্শ দিতে, পরামর্শ না মানলে সম্মিলিতভাবে হালকা মানসিক চাপ প্রয়োগ করতে হবে। চাপ প্রয়োগে কাজ না হলে আইন ভঙ্গকারী ঐ প্রবাসীর বিষয়ে তাৎক্ষণিক নিকটস্থ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে খবর দিতে স্থানীয় জনসাধারণকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। কারণ বিদেশ ফেরত একজন ব্যক্তি ভয়ংকর করোনা ভাইরাস জীবাণু বহন করলে তাঁর সংস্পর্শে আসলেই জীবাণু সংক্রামিত হওয়ার আংশকা খুব বেশী। এ আশংকা থেকে বাঁচতেই সকলকে নাগরিক দায়িত্ব পালন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

এছাড়া, যাদের শরীরে স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে বেশী তাপমাত্রা থাকে, সর্দি, কাশি থাকে, অথবা করোনা ভাইরাস জীবাণু আক্রান্তের প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যায়, তাদেরকে সরাসরি প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। সেখানে করোনা ভাইরাস জীবাণু সনাক্ত হলেই তাকে আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হয়।