নুরুল আমিন হেলালী 

হাল আমলে দেশের সবচেয়ে আলোচিত সেই পেঁয়াজ নিয়ে ফের অস্থির হয়ে উঠেছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের অভ্যন্তরীণ হাট-বাজার। করোনাভাইরাসের কারণে পরিবহন বন্ধের গুজব ছড়িয়ে পড়লে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
পেঁয়াজ না পাওয়ার গুজব উঠলে মানুষজন বেশি বেশি পেঁয়াজ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে প্রচণ্ড ভিড় জমায়। এতে ব্যবসায়ীরাও সুযোগটি লুফে নিতে মোটেও ভুল করেনি। তারা মুহূর্তে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়।
১৯মার্চ সকালে স্থানীয় বাজারগুলোতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০ টাকা দরে বিক্রি হলেও এ গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর বিকালে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৬০-৭০ টাকা এবং ২০মার্চ ১০০ টাকা। অর্থাৎ ১দিনের ব্যবধানে দ্বগুিণ-তিনগুণ।
এ খবরে পাইকারি বাজারে গুদাম ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মগোপন করে শহরের পাইকারি বিক্রেতারা। বেশি মুনাফার জন্য দিনভর পেছনের দরজা দিয়ে পেঁয়াজের বস্তা বের করে অধিক মূল্যে বিক্রি করে। এর পর থেকে সামনের দরজা খোলেনি তারা।
পুরো কক্সবাজারে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্রেতারা একেকজন ৫-১০ কেজি করে পেঁয়াজ কেনা শুরু করে। ফলে স্থানীয় বাজারগুলো পেঁয়াজ শূন্য হয়ে পড়ে। সন্ধ্যায় বাজারে কোনো পেঁয়াজ না পেয়ে ক্রেতারা হতাশ হয়ে পড়ে। জেলার অনেক দোকানে পাওয়া যাচ্ছে না পেঁয়াজ।
স্থানীয় প্রশাসন দফায়দফায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করলেও ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে দাম নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব হচ্ছে বলে মনে হয়নি। অন্যদিকে শহরের বাইরের বাজারেও পেঁয়াজের একই পরিণতি বলে বিভন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর চাউর হয়েছে।

বড়বাজারের পাইকারি বিক্রেতা আব্দু রহমান বলেন, ক্রেতারা যখন লাইন ধরে বেশি বেশি পেঁয়াজ কেনা শুরু করে তখন পেঁয়াজের মজুদ শেষ হয়ে যায়। এরপরই বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। এতে বেসামাল হয়ে পড়ে পেঁয়াজের বাজার। কোনোভাবেই আর সামাল দেয়া সম্ভব হয়নি।

ঈদগাঁওয়ের মিজবাহ উদ্দিন ও শহরের ওবায়েদ উল্লাহ নামের দুইজন ক্রেতা জানান, সকালের দিকেই গুজব ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পরিবহণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এ গুজব রটানোর পরই পেঁয়াজের বাজারে প্রভাব পড়ে যায়। অপরদিকে চাউলসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও ঊর্ধ্বমূখী। তবে বাজার তদারকিতে প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অভ্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।