বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ব্যাপক মৃত্যুর হুমকি নিয়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। চীন, ইতালি, ইরান, স্পেনসহ কিছু কিছু দেশ ও অঞ্চলে এর প্রকোপে মৃত আর আক্রান্তের মাত্রা দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে। আগামীতে বিশেষ করে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে করোনা ভাইরাস এরকম মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে বলে গভীর আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।

ঠিক এ সময়েই করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে ৬৫০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৫ হাজার ৯০০ কোটি টাকা) ঋণ ঘোষণা করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এডিবি’র সদস্যভূক্ত ৬৮টি দেশ এই সহজ শর্তের ঋণ ব্যবহার করতে পারবে। কনসেশনাল এ ঋণে সুদের হার হবে ২ শতাংশ। এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় এই ঋণ ব্যবহার করা হবে বলে জানায় এডিবি।

বুধবার (১৮ মার্চ) এডিবির ঢাকা অফিসের পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এ প্রসঙ্গে এডিবি’র টিম লিডার (বহিঃসম্পর্ক বিভাগ) গোবিন্দ বার বাংলানিউজকে বলেন, করোনা মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে সাড়ে ৬ বিলিয়ন ডলারের ঋণ ঘোষণা করেছে এডিবি। চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশসহ এডিবি’র সদস্যভূক্ত দেশ এই ঋণ ব্যবহার করতে পারবে। বাংলাদেশ এখনও করোনা মোকাবিলায় এডিবি’র কাছে ঋণ চায়নি। তবে বাংলাদেশ চাইলে চাহিদার ভিত্তিতে আলোচনার মাধ্যমে ঋণ দেওয়া হবে।

এডিবি’র ঢাকা অফিস জানায়, বুধবার এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) তাদের উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোর জন্য করোনা ইস্যুতে জরুরি ভিত্তিতে চাহিদা পূরণের জন্য সাড়ে ৬ বিলিয়ন ডলারের প্রাথমিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। করোন ভাইরাস (কোভিড -১৯) বিশ্বব্যাপী বিশাল সঙ্কটে পরিণত হয়েছে। এর জন্য জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্তরে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

এডিবি’র সভাপতি মাসাতাসুগু আসাকাওয়া বলেন, আমরা আমাদের উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে এক হয়ে করোনা মোকাবিলায় নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এই অঞ্চলজুড়ে দরিদ্র, দুর্বল ও ঘন বসতিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সুরক্ষার জন্যই এই পদক্ষেপ। এডিবিভূক্ত সদস্য ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই জরুরি ভিত্তিতে সাড়ে ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ ঘোষণা করেছি।

আসাওয়াকা জোর দিয়ে আরও বলেন, শুধু সাড়ে ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ ঘোষণা করেই এডিবি থেমে থাকবে না। করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনে আরও আর্থিক সহায়তা এবং নীতিগত পরামর্শ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত এডিবি।