মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

পর্যটক, শিক্ষার্থী, পিকনিক পার্টি, কনফারেন্স বা অন্য কোন জমায়েত ও সমাবেশের উদ্দেশ্যে সংঘবদ্ধ হয়ে এবং কক্সবাজার শহর, ইনানী, সোনাদিয়া, বৌদ্ধমন্দির, হিমছড়ি, সেন্টমার্টিন সহ কক্সবাজারের অন্যান্য পর্যটন স্পটে আসার জন্য গণপরিবহনে যাত্রী হিসাবে নিলে সে গণপরিবহনের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য বুধবার ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহর, কলাতলী হোটেল মোটেল জোন, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, লিংকরোড সহ বিভিন্ন স্থানে থাকা গণপরিবহনের অফিস গুলোতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে সরেজমিনে মোটিভেশান ওয়ার্ক করা হয়েছে। কক্সবাজারে পর্যটক আসা নিরুৎসাহিত করার অংশ হিসাবে প্রশাসন এ উদ্যোগ নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার ১৯ মার্চ সকাল থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন সহ ভিজিলেন্স টিম সক্রিয়ভাবে মাঠে থাকবে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্ভরযোগ্য সুত্র সিবিএন-কে এ তথ্য জানিয়েছেন।

একইভাবে দলবদ্ধ পর্যটক, সম্মেলনমুখী মানুষ, পিকনিকে আসা ঠেকাতে বিমানবন্দরেও অনুরূপ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ। করোনা ভাইরাস সংক্রামন প্রতিরোধে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা পুলিশ এ উদ্যোগ নিয়েছে।

সমুদ্র সৈকত সহ কক্সবাজারের টুরিস্ট স্পট গুলো ভীড় না করার জন্য, জমায়েত না হওয়ার জন্য, গণমানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাস বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে কক্সবাজার শহর, টুরিস্ট স্পট ও আশেপাশের এলাকা গুলোতেও ভিজিলেন্স টিমের নিয়মিত নজরদারি করবে বলেও জানান সুত্রটি।