মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কঃ
আপনার একটু সদয় সহানুভূতি ফিরিয়ে দিতে পারে মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত অসহায় মোস্তাক আহাম্মদের স্বাভাবিক জীবন।

তিনি রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া দক্ষিণ পাড়া গ্রামের মরহুম পেঠান আলীর ছেলে।

তার স্ত্রী ফাতেমা জান্নাত জানান, স্বামী মোস্তাক গত দুই বছর আগে সংসারের সুখের কথা চিন্তা করে মালেশিয়া যায়। সেখানে প্রায় এক বছর কাজ করে পরের বছর সে অসুস্থ হয়ে মালেশিয়ার বিভিন্ন হাসপাতালে দীর্ঘ ৯ মাস চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে আসেন। তার পরিবার মালেশিয়া ও দেশের বিভিন্নস্থানে চিকিৎসা করে অনেক টাকা ব্যয় করেন। বর্তমানে তার শরীরে মরণব্যাধি ক্যান্সার ধরা পড়েছে।

মাত্র ৩৩ বছর বয়সে তার শরীরে মরণব্যাধি ক্যান্সারে বীজ বুনেছে। গত দুই মাস আগে ধরা পড়া মরণব্যাধি এ ক্যান্সারের চিকিৎসা জোড়াতালি দেয়া চলছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

স্ত্রী ফাতেমা আরো জানান, স্বামীর চিকিৎসার জন্য একমাত্র মাথা গোজার ঠাঁই বসতঘর, ভিটা,গরু, মুরগী ও সহায় সম্বল বিক্রি করে চিকিৎসায় ব্যয় করে ফেলেছে। এতেও সংকুলান না হওয়ায় ঋণ করা হয়েছে আরো অর্ধলক্ষাধিক টাকা। এতো টাকা খরচ করার পরও কাজের কাজ কিছু হয়নি। চিকিৎসক বলেছেন, বাংলাদেশে এ রোগের উন্নত চিকিৎসা নেই। তাকে সারাতে হলে ভারতে নিতে হবে। এতে প্রায় ৮ লাখ টাকা খরচ হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

কিন্তু দরিদ্র পেঠান আলীর ছেলে মোস্তাক এতো টাকা খরচ করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। অসুস্থ মোস্তাকের মলিন মুখ দেখে নিরবে অশ্রু ফেলছেন স্ত্রী,তিনি শিশু সন্তান।

চট্টগ্রামের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ সবুজ জানিয়েছেন, তার চিকিৎসা এখানে নেই দেশের বাহিরে অথবা ঢাকা বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। আমরা মোস্তাককে যতদুর সম্ভব নজরদারিতে রেখেছি। তবে যত দ্রুত সম্ভব উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়া প্রয়োজন।

তার সৎ ভাই জাকের আহাম্মদ বলেন, অসুস্থতার কারণে দিনদিন লোপ পাচ্ছে মোস্তাকের স্মৃতি শক্তি ক্ষীণ হয়ে আসছে শরীরটাও।

কচ্ছপিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোঃ ইসমাঈল নোমান আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করার কথা বলে জানান কক্সবাজার জেলায় প্রায় ২৫ লাখ মানুষের বাস। প্রায় ১৫ লাখ মানুষ কর্মক্ষম। ধুমপান ও পান খেয়ে থাকেন প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ মানুষ। ৫ লাখ মানুষও যদি একটি সিগারেট কিংবা পানের টাকাও তার জন্য দেন তবে দিব্যি তার চিকিৎসা করার খরচ মেলে।

তাই তিনি মানুষ হিসেবে মানুষের জন্য আন্তরিক হয়ে মোস্তাককে সহযোগিতা দিতে জনপ্রতিনিধি ও হৃদয়বান সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনিসহ তার পরিবার। আর্থিক সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ নং ০১৮৩৯১৩১৬৮৮ স্ত্রী ফাতেমা জন্নাত।