মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জন্মের ক্ষণ বর্ণিল আতশবাজি প্রজ্বলনের মাধ্যমে মুজিব শতবর্ষের (মুজিব বর্ষ) ও জাতীয় শিশু দিবসের কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সাজানো দিবারাত্রির বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার সমাপ্তি টানা হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে মঙ্গলবার ১৭ মার্চ রাত ৮ টায় এই আতশবাজির প্রজ্বলনের ক্ষণ উদযাপন করা হয়। এই মাহেন্দ্রক্ষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি দাঁড়িয়ে জানাই গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানানো হয়।
এসময় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যান ট্রাস্টের ট্রাস্টি অ্যাডভোকেট দীপংকর বড়ুয়া পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, জেলা জাসদের সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এসময় আতশবাজির ফুটানোর মূর্হু মূর্হু শব্দের সাথে সমুদ্র সৈকতের আকাশ বর্ণিল আলোতে রঙ্গিন হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, ১৭ মার্চ মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপনের জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসন দিবারাত্রি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা সাজিয়েছিলো। সে অনুযায়ী পালিত
অনুষ্ঠান সূচীর মধ্যে ছিলো ১৭ মার্চ ৬ টা ৭ মিনিটে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা, জেলার সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদ স্মরনীতে জেলা প্রশাসন উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ‘অরুণোদয়’ স্কুলে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল ১০ টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহীদ এটিএম জাফর আলম সিএসপি সম্মেলন কক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন। সকাল ১১ টায় গৃহহীনদের মাঝে গৃহ প্রদানের চাবি হস্তান্তর। সকাল সাড়ে ১১ টায় সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান। দিনের বিভিন্ন সময়ে মসজিদ ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা। শিশু পরিবার, শেখ রাসেল শিশু পূর্ণবাসন কেন্দ্র, হাসপাতাল, কারাগার ও ছিন্নমূল শিশুদের মাঝে খাবার ও মিষ্টান্ন বিতরন। জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সীমিত পর্যায়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, প্রধানমন্ত্রীর চিঠি পাঠ, মিষ্টান্ন ও দুপুরের খাবার বিতরণ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপর নির্মিত ভিডিও ক্লিপস, ফুটেজ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সারাদিনব্যাপী প্রদর্শন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে জাতীয় অনুষ্ঠান সম্প্রচার এবং রাত ৮ একইস্থানে জনসমাবেশবিহীন আতশবাজি ফোটানো।
এদিকে, কক্সবাজার জেলা প্রশাসন আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের সকল অনুষ্ঠানমালা সফলভাবে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট সকলে উপস্থিত থাকায় জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।