আলমগীর মানিক,রাঙামাটি :

রাঙামাটির কাউখালি উপজেলায় চীন ফেরত এক তরুণীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সে ১২ তারিখ দেশে ফিরলেও ১৬ মার্চ তাকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয় স্বাস্থ্য বিভাগ। এনিয়ে বিদেশ থেকে নিজ দেশ বাংলাদেশের রাঙামাটিতে ফিরে আসা দুই নারীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্যে নির্দেশনা দিয়েছে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষ। তাদের দু’জনের একজন স্পেনের বার্সেলোনা থেকে আগত(১৪ই মার্চ) রাঙামাটি শহরের তবলছড়ির বাসিন্দা, অপরজন সোমবার (১৬ই মার্চ) সনাক্ত হওয়া জেলার কাউখালী উপজেলাধীন ঘাগড়ার বাসিন্দা।

কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুইমি প্রু রোয়াজা জানান, এরাকাবাসীর মাধ্যমে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন বিষয়টি জানার সাথে সাথেই চম্পাতলী গ্রামে তাৎক্ষনিক ছুটে যান এবং তাকে হোম কোয়ান্টিরিয়ামে রেখে আসেন বলে। তার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সার্বক্ষনিক খোঁজ খবর রাখছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।

চীনে একমাস বেড়ানোর পর ১৩ মার্চ দেশে ফিরা তরুণী নির্বিঘেœ ঘুরে বেড়িয়েছে; অথচ কোনো কর্তৃপক্ষ তার খোঁজ না পাওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী। বিদেশ থেকে ফেরা সকল নাগরিককে অন্তত ১৪দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার বিষয়ে বাধ্যবাধকতা থাকলেও ওই তরুণীর কোনো স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা তাকে নিভৃত বাসের ব্যবস্থা করা হয়নি অন্তত তিনদিন।

কাউখালীর এলাকাবাসী জানায়, চীন থেকে ফেরা ওই তরুণীর নাম ….. চাকমা (২২)। উপজেলার ৩নং ঘাগড়া ইউনিয়নের চম্পাতলী গ্রামের বাসিন্দা তিনি। ভিসা নিয়ে গত ফেব্রুয়ারী সে চীন ভ্রমণে যায়। চীনের ওয়াং জু আনহই প্রদেশে এক মাসের অধিক সময় ঘুরে বেড়ানোর পর গত ১২ মার্চ বাংলাদেশে ফিরে এবং ১৩ মার্চ তার নিজ বাড়ি রাঙামাটির কাউখালী উপজেলাস্থ চম্পাতলী গ্রামে ফিরে যায় এবং কয়েকদিন উন্মুক্তভাবে ঘুরে বেড়ায়।

এদিকে এ ব্যাপারে ডাঃ সুইমি প্রু রোয়াজা বলেন, আমরা এই করোনা ভাইরাস রোগ উপজেলা পর্যায়ে নির্ণয়ের জন্য সরকারীভাবে কোন ইনস্ট্রুমেন্ট পাইনি কিন্তু আমরা সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। উপজেলার কোথাও কোন বিদেশ ফেরত লোকের খোঁজ পেলেই আমরা মেডিকেল টিম নিয়ে সেখানে ছুটে যাচ্ছি এবং তাদের করোনা ভাইরাস রোগের ভয়াবহতা সম্বন্ধে বোঝাচ্ছি এবং সতর্ক করছি। ঘাগড়া এলাকায় যে মেয়েটি চীন দেশ হতে এসেছে তাকে আমরা তার পরিবারের জিম্মায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে এসেছি। ১৪ দিন পর্যন্ত ঘরের মধ্য হতে বাহিরে কোথাও না যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করেছি এবং স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যানকে বিষয়টি ভালভাবে নজর রাখার জন্য অনুরোধ করেছি। যদি মেয়েটির কোন শর্দি কাশি বা জ্বরের উপসর্গ দেখা দেয় তা হলে সংগে সংগে আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগ কে জানানোর জন্য বলে এসেছি। প্রয়োজনে তাকে আমরা আইইডিসিআরে পাঠানোর ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো। তিনি জানান, কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১০বেডের কিন্তু আমরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে একটি কক্ষ করোনা ভাইরাস রোগীর চিকিৎসার জন্য আইসলেটেড করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।