প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কক্সবাজার জেলা শাখার বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আফজাল হোসেন বলেন পাকিস্তান স্বাধীন হবার পর পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠি পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের উপর একের পর পর শোষন, বঞ্জনা ও বিভিন্ন মৌলিক অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ শুরু করে ঠিক তখনই বাঙালী অধিকার আদায়ের জন্য ১৯৪৯ সালের ২৩জুন আওয়ামী লীগের জন্ম হয়। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ৫২ ভাষা আন্দোলন, ৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে জয়লাভ, ৫৮ সালের আয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬-৬ দফা, ৬৯ গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচনে জয়লাভ এবং ৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জাতী স্বাধীনতা লাভ করে।

তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জাতী স্বাধীনতা লাভ করেছিল। তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা পেয়েছে, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই জাতী ২০৪১ সালের আগে উন্নত রাষ্ট্র পাবে, তিনি বলেন ৭৫ পরবর্তী অন্যান্য যে দলগুলো রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে তারা দেশ ও জাতীর উন্নতির কথা চিন্তা না করে শুধু মাত্র নিজেদের উন্নতির চিন্তা করেছে। তাদের নেতৃবৃন্দ দুর্নীতির মামলায় কেউ জেলে, কেউ বিদেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

তিনি বলেন শেখ হাসিনা শুধু সফল রাষ্ট্রনায়ক নন, তিনি একজন সফল মানবতার ও নেত্রী তিনি জাতির স্বাস্থ্য নিরাপত্তা চিন্তা করে জাতীর পিতার জন্ম শর্ত বার্ষিকীর কর্মসুচীতে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন। তিনি মানবতার নেত্রী হিসাবে বার বার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছেন। তিনি যে কোন সমস্যা মোকাবেলায় দলীয় নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহবান জানান।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান এর পরিচালনায় গতকাল সকাল ১১ঘটিকায় দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন-নজরুর ইসলাম চৌধুরী, সায়মুম সরওয়ার কমল এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন, শাহ আলম চৌধুরী রাজা, রেজাউল করিম, এড. রনজিৎ দাশ, আবু তালেব, বাবু উজ্জ্বল কর, গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, মহসিন বাবুল, নুরুল বশর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আজিজুর রহমান বিএ, অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, এস.এম. কামাল, এড. আব্বাস উদ্দিন চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, শফিকুল কাদের শফি, খোরশেদ আলম, তাপস রক্ষিত, কাজী মোস্তাক শামীম, এড. ফরিদুল আলম, এড. মমতাজ আহমদ, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, নুরুল আবছার, হেলাল উদ্দিন কবির, শফিউল আলম, এড. সুলতানুল আলম, গিয়াস উদ্দিন, মকছুদ মিয়া, আব্দুর রউফ, আদিল উদ্দিন চৌধুরী, এম.এ. মনজুর, আবু তাহের আজাদ, উম্মে কুলসুম মিনু, বদরুল হাসান মিলকি, হামিদুল হক চৌধুরী, সোহেল সরওয়ার কাজল, নজিবুল ইসলাম।

বর্ধিত সভায় গৃহিত কর্মসূচীর মধ্যে ১৭ মার্চ সূর্যদয়ের সাথে সাথে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন দলীয় কার্যালয়ে সকাল ৭টায় জাতীর জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাজ্ঞ অর্পন। সকাল ৮টায় জাতীর জনকের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার, সকাল ৯টায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, কেক কর্তন বাদে যোহর মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও এতিম এবং দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ। বিকাল ৪টায় কেন্দ্রীয় ঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশ গ্রহণ। রাত ৮টায় আতসবাজি উৎসব, এছাড়াও জেলা, উপজেলা, দলীয় কার্যালয় সমূহ আলোকসজ্জা করণ। উক্ত কর্মসূচী সমুহ জেলার আওতাধীন সকল উপজেলা ও সাংগঠনিক উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার নির্দেশ প্রদান করা হয়।