অনলাইন ডেস্ক :

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন গ্রহণ আগামী ১০ মে থেকে শুরু হচ্ছে। এবারো তিন দফায় আবেদন গ্রহণ করা হবে। ভর্তির জন্য শুধু অনলাইনে আবেদনের সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা। আগামী ৮ জুন প্রথম দফায় ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। আর ১ জুলাই থেকে কলেজগুলোতে একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হচ্ছে।

এভাবেই একাদশে ভর্তির নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে নীতিমালাটি প্রকাশ করা হয়।

ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, আগামী ১০ মে থেকে প্রথম পর্যায়ে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়ে ২০ মে পর্যন্ত চলবে। ২৭ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত আবেদন যাচাই বাছাই চলবে। এসএসসির ফল পুন:নিরীক্ষার আবেদন করা শিক্ষার্থীরাও এ সময়ের মধ্যে আবেদন করবে। ৩ জুন পর্যন্ত পছন্দক্রম পরিবর্তন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। পুন:নিরীক্ষায় ফল পরিবর্তন হওয়া শিক্ষার্থীরা ১ ও ২ জুন ভর্তির আবেদন করতে পারবেন। ৮ জুন রাত আটটায় প্রথম পর্যায়ে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে। ৯ থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সিলেকশন নিশ্চায়ন করতে পারবেন।

আর ১৭ জুন থেকে পরদিন ১৮ জুন রাত আটটা পর্যন্ত ২য় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ করা হবে। ২০ জুন ২য় পর্যায়ের আবেদন করা শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে। ১ম পর্যায়ের নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশনের ফলও ২০ জুন প্রকাশ করা হবে। ২১ থেকে ২২ জুন বিকেল ৫টা পর্যন্ত ২য় পর্যায়ের নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চায়ন করতে হবে।

আর আগামী ২৩ জুন ৩য় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ করা হবে। ২৫ জুন রাত ৮টায় তৃতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে। ২৬ ও ২৭ জুন ৩য় পর্যায়ের নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চায়ন করতে হবে।

আগামী ২৮ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে। আগামী ১ জুলাই একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।

সূত্র জানায়, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় কিছু পরিবর্তন এনে নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। নীতিমালায় ভর্তি কোটা ও আবেদন প্রক্রিয়ায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এবার আর এসএমএসের মাধ্যমে আবেদনের সুযোগ থাকছে না। আবেদন করা যাবে শুধুই অনলাইনে। ১০ মে শুরু হয়ে ২৩ জুন পর্যন্ত ভর্তির ভর্তি আবেদন গ্রহণ করা হবে।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত একাদশের ভর্তি নীতিমালা চূড়ান্তকরণের সভায় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির তৈরি করা খসড়া নীতিমালাটি উপস্থাপন করা হয়। সভায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও সচিব মো. মাহবুব হোসেন ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক উপস্থিত ছিলেন।