বলরাম দাশ অনুপম :
ঘুষ নেওয়ার দায়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের তিন সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এদের বিরুদ্ধে ৯৩ লাখ ৬০ হাজার ১৫০ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের টাকা উঠিয়ে দেওয়ার আশ্বাসে ওই ঘুষ নেন। মঙ্গলবার (১০ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপ সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পরে মামলাটি রেকর্ড করেন সেখানকার আরেক উপ সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক। আসামিরা হলেন পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার ধান্দি গ্রামের মো. দলিল উদ্দিন খানের পুত্র ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো. ওয়াসিম খান (৩৭), কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার বানি গ্রামের খান বাড়ির ময়নাল খানের পুত্র ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো. ফেরদৌস খাঁন (৩৬) এবং পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার গৌসিংগা গ্রামের আবু বকর সরদারের পুত্র ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো. ফরিদ উদ্দিন (৩৬)। কক্সবাজার সদর থানা বাস টার্মিনাল এলাকায় ঘুষের টাকাসহ মো. ওয়াসিম খানকে আটক করে র‌্যাব
কক্সবাজার সদর থানা বাস টার্মিনাল এলাকায় ঘুষের টাকাসহ মো. ওয়াসিম খানকে আটক করে র‌্যাব দুদক সূত্রে জানা যায়, আসামিরা একে অপরের যোগসাজশে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে কক্সবাজার জেলার ক্ষতিগ্রস্থ ভূমি অধিগ্রহণে টাকা পাইয়ে দেওয়ার সুযোগে মোট ৯৩ লাখ ৬০ হাজার ১৫০ টাকা ঘুষ গ্রহণের দায়ে দণ্ডবিধি ১৬১, ১৬২, ৪২০ ও ১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন বলেন, অভিযুক্তদের দুজন পলাতক রয়েছে। তদন্তকালের এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কমিশন বরাবরে সুপারিশ করা হবে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার সদর থানা বাস টার্মিনাল এলাকায় ঘুষের টাকাসহ মো. ওয়াসিম খানকে (৩৭) আটক করে র‌্যাব। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত মো. ফেরদৌস খাঁন (৩৬) ও মো. ফরিদ উদ্দিন (৩৬) পালিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৬৬ লাখ ৭৫ হাজার ৫৫০ টাকা জব্দ করা হয়।