ইমাম খাইর, সিবিএন
চলতি সৌসুমে কি পরিমাণ জমিতে লবণ উৎপাদন হচ্ছে; এখনো কি পরিমাণ অনাবাদি জমি রয়ে গেছে, কতজন চাষি মাঠে নেমেছে, তার জন্য সরেজমিনে জরিপ চালাচ্ছে বিসিক।
৩ জন সমন্বয় কর্মকর্তার নেতৃত্বে গত ১৯ ফেব্রুয়ারী থেকে মাঠ জরিপে কাজ করছে ৭০ জন তথ্য সংগ্রহকারী।
যেখানে রয়েছে বিসিকের অফিসার, ইন্সপেক্টর ও মাঠ কর্মী।
আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত জরিপ কাজ চলবে। সংগৃহীত তথ্যাবলি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবে, যা পরবর্তীতে সরকারীভাবে সিদ্ধান্তে সহায়ক হবে বলে জানান বিসিক কক্সবাজারের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান।
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর কিছু অংশসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলার চাষযোগ্য লবণজমির পরিমাণ ৬০ হাজার ৫৯৬ একর। গত বছর থেকে দাম না পাওয়ায় এ বছর বেশ কিছু জমিতে লবণচাষ হচ্ছে না। তবু আবহাওয়া অনুকূল থাকলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।
এ বছর লবণের চাহিদা ১৮.৪৯ লক্ষ মে. টন। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮.৫০ মে. টন।
গত ৬ মার্চ পর্যন্ত জেলায় ৫ লাখ ৬ হাজার ৪২২ মে. টন লবণ উৎপাদিত হয়েছে। যা মোট লক্ষ্যমাত্রার প্রায় এক তৃতীয়াংশ।
গত বছর এই সময়ে উৎপাদিত লবণের পরিমাণ ৫ লাখ ৫৯ হাজার ১৫৫ মে. টন।
গত মৌসুমে ১৬ দশমিক ৫৭ লাখ মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে লবণের উৎপাদন ছিল ১৮ দশমিক ২৪ লাখ মেট্রিক টন।
জেলায় বর্তমানে মাঠে লবণ উৎপাদনে জড়িত ৪৪ হাজারের বেশি চাষি পরিবার।
নভেম্বর থেকে মে মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ছয় মাস লবণ উৎপাদন মৌসুম।
এদিকে, লবণ উৎপাদনের ভরা মৌসুমেও ন্যায্যমূল্য না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন কক্সবাজার উপকূলের অন্তত ৪০ হাজার প্রান্তিক চাষি। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে লবণ উৎপাদন, বিপণনের সঙ্গে যুক্ত অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ। লবণচাষিদের অভিযোগ, আমদানির কারণেই কমে গেছে লবণের দাম। এ ক্ষোভ থেকে অনেক চাষি লবণ মাঠ ছেড়ে অন্য পেশায় যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।