শেফাইল উদ্দিন , কক্সবাজার সদর : ।

কক্সবাজারের সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে বিরোধীয় জায়গা দখলের ঘটনায় গভীর রাতে উপর্যপুরী হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষকসহ আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তৎমধ্যে শিক্ষকের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।

৯ মার্চ সোমবার ভোর ৪ টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটেছে ইউনিয়নের উত্তর মাইজ পাড়া গ্রামে মহিলা মেম্বার নুর জাহানের বসত বাড়িতে।

আহতরা হল ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের শিক্ষক সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম ছৈয়দ আলমের ছেলে মাহমুদুল হক মাদু, তার চাচা আবদুল হক, ভাই আবদুর রশিদ, স্থানীয় মহিলা মেম্বার শফিকুর রহমানের স্ত্রী নুর জাহান, গোলাম কবিরের ছেলে শফিকুর রহমান, ছেলে বোরহান উদ্দিন, মেয়ে ছুমাইয়া,তারজিনা আক্তার নুর জাহান মেম্বারের বোন নুরুল ইসলামের স্ত্রী নুর নাহার, ছৈয়দ আহমদের মেয়ে ইসমত আরা। তারা বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় উভয়ে পক্ষের পরষ্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মহিলা মেম্বার নুর জাহান ও সাবেক চেয়ারম্যান হাজী ছৈয়দ আলমের ছেলে মাহমুদুল হক মাদু গং দের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমির বিরুদ্ধে চলে আসছিল। ইত্যবসরে তাদের মধ্যে কয়েকবার ঘটনা ঘটেছিল, মাদুর নেতৃত্বে মহিলা মেম্বারের ছেলে সাইদুল ইসলামকে জাগির পাড়া এলাকায় হামলা করেছিল৷ এর কয়েকদিন পর মহিলা মেম্বারের নেতৃত্বে মাদুর কর্মস্থল কেজি স্কুলের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ঐ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় মহিলা মেম্বার নুর জাহান এবং তার ছেলে সাইদুল ইসলাম জেল কাটে।
মহিলা মেম্বার নুর জাহান বলেন, মাহমুদুল করিম মাদুর নেতৃত্বে ১০০/১২০ জন লোক ভোর রাতে তাদের বাসায় গিয়ে ভাংচুর চালায়, বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করলে কিরিচ, দা, হাতুড়ি দিয়ে স্বামী, ছেলে, মেয়ে, আত্মীয় স্বজনসহ ৭ জনকে এলোপাথাড়ি মারধর ও হামলা করে।

তিনি আরো দাবী করেন তার ছেলে সাইদুল ইসলামকে অপহরণ করে গোপন স্থানে আটকা রেখেছে। তাছাড়া বিদেশ থেকে আনা নগদ টাকা, স্বর্ণ, প্রয়োজনীয় মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তারাও মামলার প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

মাহমুদুল করিম মাদুর ম্বজরা জানান, মহিলা মেম্বারের ছেলে বোরহান উদ্দীন নামের এক ছেলে ওমান থেকে চলে আসে। চলে আসার একদিন পর পুর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে মাষ্টার মাহমুদুল করিম মাদু ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়া পথে তুলে নিয়ে তাকে উপর্যপুরী দা, হাতুড়ি দিয়ে কোপ দেয়। তার শোর চিৎকারে পরিবারের অপরাপর সদস্য ভাই আবদু রশিদ ও চাচা আবদুল হক এগিয়ে আসলে তাদেরকেও হামলা করে। তারা মামলার প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন বলে জানান, তাদের এক নিকট আত্মীয়

সংগঠিত ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বর্তমানে আহতরা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আহতদের মধ্যে মাষ্টার মাহমুদুল করিম মাদু’র অবস্থা আশংকাজনক বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সূত্রে জানা যায়।

ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আসাদুজ্জামান বলেন,ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে, তবে জমির বিরোধ নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মামলা করলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।