খলিল চৌধুরী, সৌদি আরব  :

মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে চলছে করোনা ভাইরাস রোগের আতংক। এর মধ্যে হঠাৎ স্ট্রোক করে মৃত্যু, অজ্ঞাতদের ছুরির আঘাতে খুন, ছিনতাইকারীদের গুলিতে নিহত ও নারী-পুরুষসহ নিখোঁজের আতংকে প্রতিদিন সৌদি আরবে দিনকাটাছে প্রবাসীরা।

র্দীঘ ৩-বছর ধরে নিখোঁজ সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মী হিসাবে আসা ডলি নামে এক বাংলাদেশি  যুবতী ও জেদ্দায় কাজল নামে আরেক বাংলাদেশি প্রবাসী গত এক বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছে।

জানা যায়, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার এক নারী শ্রমিক সৌদি আরবে গিয়ে তিন বছর যাবৎ নিখোঁজ রয়েছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিখোঁজ নারীর নাম ডলি বেগম (৩৬)।
উপজেলার গণমানপুরুরা গ্রামের মো. দুলাল মিয়ার মেয়ে ডলি আজ থেকে ১১ বছর আগে গৃহকর্মীর ভিসায় সউদী আরবে পাড়ি জমান। নিখোঁজের মাতা জোৎস্না আক্তার জানান ১৫ বছর আগে ডলিকে বরিশালের আনোয়ার হোসেন নামে এক যুবকের সাথে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের বছরখানেক যেতে না যেতেই ডলীর স্বামী আনোয়ার এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। সে সময় ডলি ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। এরপর থেকে ডলির আশ্রয় মিলে বাবার বাড়ি হোসেনপুরে।

তার গর্ভের সন্তান শ্যামা আক্তার (১৪) এখন স্থানীয় লুলিকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। অভাব অনটনের পিতার সংসারের ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় একই গ্রামের দুলাল মিয়া নামে এক আদম ব্যবসায়ীর মাধ্যমে সউদীতে যান। সেখানে যাওয়ার পর আট বছর পর্যন্ত মোবাইলে ফোনের মাধ্যমে পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগ ছিল এবং প্রতি মাসেই মা-বাবা ও মেয়ের জন্য নিয়মিত টাকা পাঠাতেন।

কিন্তু তিন বছর যাবৎ হঠাৎ করে ডলির যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। গত শুক্রবার নিখোঁজ ডলির বাড়িতে গেলে তার পিতা দুলাল মিয়া ও মাতা জোৎস্না বেগম এ ঘটনার বর্ণনা দেন। তারা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ-খবর নিয়েও মেয়ের কোনো সন্ধান করতে পারেনি। আর এতেই পাল্টে যায়, রেখে যাওয়া একমাত্র মেয়ে শ্যামা ও তার নানা-নানির ভাগ্যের হিসাব-নিকাশ। চৌদ্দ বছরের রেখে যাওয়া অসহায় মেয়েটি এতিম হওয়ায় তাকে নিয়ে বেশ বেকাদায় আছেন বলে বয়সের ভারে ন্যুজ দুলাল মিয়া (৮০) জানান। মেয়ের সন্ধান পেতে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অন্যদিক সৌদি আরবের জেদ্দায় কাজল নামে এক প্রবাসী এক বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছে জেদ্দা-বাংলাদেশ কনস্যুলেট সূত্রে এক বিজ্ঞপ্তি জানাগেছে।
নিখোঁজ কাজলের গ্রামের বাড়ী মৌলবিবাজার জেলা সদরে ধনদাস এলাকার আকলিস মিয়ার পুত্র।