নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজার শহরের ঐতিহ্যবাহী বৃহত্তর পেশকার পাড়া সমাজ কমিটির নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার (৯ মার্চ) স্থানীয় আবুজর আল গিফারী একাডেমী ভোট কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে। এতে ৩২৭ জন ভোটারদের মধ্যে ৩১৭ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল আলম মাস্টার ফলাফল ঘোষণা করেন।

ঘোষিত ফলাফলে ১৬৫ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ছাতা প্রতীকের আবদুল খালেক। চেয়ার প্রতীক নিয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ফজল করিম সওদাগর পেয়েছেন ১৩৫ ভোট। ১৩৩ ভোট পেয়ে সিনিয়র সহ-সভাপতি হয়েছেন মোঃ আলম সওদাগর। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আবু ছালেহ পেয়েছেন ৯৮ ভোট। ১৪৭ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন শহীদুল ইসলাম ভুট্টু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আবু আহম্মদ পেয়েছেন ১৪২ ভোট। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ১৩৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ইব্রাহিম কালু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছৈয়দ আকবর পেয়েছেন ৯৫ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ১৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন শাহ মোহাম্মদ আবু তৈয়ব। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জসিম উদ্দিন পেয়েছেন ৯২ ভোট। অর্থ সম্পাদক পদে ১৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আবদুর রাজ্জাক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি গিয়াস উদ্দিন পেয়েছেন ১৩৮ ভোট।

নির্বাহী সদস্য পদে ৭ জনের মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন ৩ জন। তারা হলেন ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বজল করিম। তিনি সর্বোচ্চ ১৬৭ ভোট পেয়েছেন।

এছাড়া যুবনেতা নুরুল ইসলাম বাদশা ১৩৩ ভোট ও সাইফুল ইসলাম ১০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচন চলাকালীন শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্প্রীতি বজায় রাখতে কাজ করেন কক্সবাজার পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিদারুল ইসলাম রুবেল, সাবেক কাউন্সিলর মনছুর আলম, যুবলীগ নেতা আবদুল মোনাফ সিকদার।

নির্বাচনে সদর মডেল থানার এসআই মোঃ তৈমুরের নেতৃত্বে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন।

ভোট পর্যবেক্ষণে গণমাধ্যমকর্মীরাও মাঠে ছিল।

দীর্ঘদিন পরে গণতান্ত্র চর্চার সুযোগ পেয়ে বৃহত্তর পেশকারপাড়ার সর্বশ্রেণীর মানুষের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে।
শুধু ভোটাররা নয়, নির্বাচনের আমেজ প্রক্যক্ষ করেছে স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীরাও।
ভোট গ্রহণের বেলায় কোন ধরণের বিশৃঙ্খলা দেখা যায় নি। সবাই উৎসবের সাথে ভোট দিয়েছে।
অনেকে এই নির্বাচনকে একটি দৃষ্টান্ত বলেও মন্তব্য করেছে।

এদিকে, নবনির্বাচিত সভাপতি আবদুল খালেক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এলাকাকে সন্ত্রাস, মাদক ও অপরাধমুক্ত করাই আমার টার্গেট। কোন অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিকারী সকলকে সঙ্গে নিয়ে আমি কাজ করব।
আমি মনে করি, পরিবর্তনের জন্য এলাকাবাসী আমাকে ভোটে দিয়ে নির্বাচিত করেছে। ভোটের মর্যাদা আমি রক্ষা করার চেষ্টা করবো। এ জন্য বিজিত প্রার্থীসহ সবার পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করছি।