সংবাদদাতা
উখিয়া উপজেলার জালিয়া পালং বন বিট ও রাজাপালং বনবিট সামাজিক বনায়নের ২৭৫ জন উপকার ভোগীদের মাঝে চুক্তিনামা বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকারুজ্জমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার সকাল ১০ টায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির ।
তিনি বলেন, বনায়নের সদস্যদের মনোযোগি হতে হবে। যদি বনায়নের সদস্যরা আন্তরিক না হয় তাহলে কখনো বনায়ন রক্ষা করা সম্ভব নয়। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নের জন্য সকলকে সদস্যকে একযোগ হয়ে কাজ করার আহবান জানান। আপনারা নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে বনায়নের উন্নয়নের জন্য কাজ করেন, সবাই উপকৃত হবেন বলে জানান। সমাজে কাউকে ইয়াবা ব্যবসা করতে হবে না। মাদকের মত জঘন্য ব্যবসায় জড়িত হতে হবে না। তিনি সদস্যদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কোন সদস্য যদি বনয়ানের কাজে সহযোগিতা না করে তাহলে সেই সব সদস্যদেরকে আলোচনার মাধ্যমে বাদ দেওয়া হবে। যারা বন অপরাধের সাথে জড়িত থাকবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। যে কোন ধরনের সহযোগিতা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, সামাজিক বনায়নের উন্নয়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন সামাজিক বনায়ন ধনীদের সদস্য হওয়ার জন্য নয়, সামাজিক বনায়ন হতদরিদ্র মানুষের জন্য। উপজেলা চেয়ারম্যান নিজের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মর্জিনা আকতার মর্জু বলেন, ১১ লক্ষ রোহিঙ্গারা উখিয়ায় এসে উখিয়ার সবুজ পরিবেশকে ধংস করছে। এখন আপনাদেরকে ১১ লক্ষ গাছ রোপণ করে উখিয়ার সবুজ পরিবেশ আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। সামাজিক বনায়ন রক্ষার জন্য সকল ধরনের সহযোগিতা উখিয়া থানা পুলিশ করবে।
বক্তব্য রাখেন আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারীবন সংরক্ষক উখিয়া। সোলতান মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান উখিয়াউপজেলা পরিষদ। নুরুল আমিন চৌধুরী, চেয়ারম্যান জালিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষ। মির আহমদ, রেঞ্জ অফিসার ইনানী।
উপস্হিত ছিলেন রাজাপালং বিট কর্মকর্তা, জালিয়া পালং বিট কর্মকর্তা, ও সামাজিক বনায়নের সদস্য বৃন্দ।
আলোচনা সভা শেষে বনায়নের সদস্য মৌলানা শাহাব উদ্দিন ও আলি হোসেনের হাতে চেক হস্তান্তর করেন, উখিয়া পরিবেশ ও বন উন্নয়ন কমিটির সভাপতি উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকারুজ্জমান চৌধুরী।