নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও সন্দেহভাজন এবং তাদের সংস্পর্শে যাওয়া ব্যক্তিদের শিগগির আলাদা করে ফেলার অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকায় চীনের ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান।

রোববার (৮ মার্চ) বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে তিনজন শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানানো হলে তাৎক্ষণিকভাবে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক বার্তায় ইয়ান এ অনুরোধ করেন।

ওই বার্তায় চীনের এ কূটনীতিক করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে জনসমাগম বা জমায়েত এড়িয়ে চলারও পরামর্শ দেন।

এর আগে রোববার বিকেলে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা সংবাদ সম্মেলনে জানান, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে একজন নারী ও দুজন পুরুষ। এদের মধ্যে দুজন ইতালিফেরত। এদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। এ তিনজন ছাড়া আরও দুজনকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে কোয়ারেন্টাইনে (আলাদাভাবে) রাখা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে রেখে লক্ষণ-উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তারা বর্তমানে ভালো আছেন। এ মুহূর্তেই আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। রাস্তাঘাটে চলাফেরায় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬ হাজার ১৯৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে মারা গেছেন ৩ হাজার ৬০০ জনে। এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত ৬০ হাজার ১৯০ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বিশ্বের ১০৩টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।

শুধু চীনের মূল ভূখণ্ডেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৬৯৬ এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৯৭ জনের। চীনের পর করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ১৩৪ এবং মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের। চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৮৮৩ এবং মৃত্যু হয়েছে ২৩৩ জনের। অপরদিকে, ইরানে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৮২৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ১৪৫ জন।