আবুল কালাম, চট্টগ্রাম:
আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী বর্তমান ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিমের বাসায় তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সেখানে অবরুদ্ধ হয়েছেন সীতাকুণ্ডের সাংসদ দিদারুল আলম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,রবিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টার দিকে জসিমের বিশ্বকলোনীস্থ বাসায় আসেন দিদারুল আলম। জসিমের সাথে আলাপ শেষে বের হয়ে আসার পথে সেখানে আগে থেকে জমায়েত হওয়া কয়েকশ নেতাকর্মী তাকে ঘিরে ধরে।
এসময় সাংসদ দিদারের কাছে তারা কাউন্সিলর পদে নির্বাচন ওপেন করে দেয়ার দাবি জানায়। যেকোন মূল্যে জসিমকে নির্বাচন করতে দেয়ার দাবিও জানায় তারা। এসময় তাদের অনেকে দিদারের গাড়ির সামনেও শুয়ে যায়। তাকে ঘিরে শ্লোগানও দেন তারা।
এসময় জসিমের বাসার সামনের রাস্তায় ২০ মিনিট অবরুদ্ধ ছিলেন দিদার। পরে আকবর শাহ থানা পুলিশ এসে দিদারকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে যান।
যাওয়ার সময় স্থানীয়দের দাবির বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন সহ ঊর্দ্ধতন নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়ে যান সাংসদ দিদার।
এ বিষয়ে আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তেমন কোন ঘটনা হয়নি। এমপি সাহেব মনোনয়ন প্রত্যাহারে কাউন্সিলর জসিমের বাসায় বুঝাতে গিয়েছিলেন।
সাংসদের গাড়ির আটকানোর বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আবেগ সামলাতে না পেরেই কাউন্সিলরের সমর্থকরা রাস্তায় কিচ্ছুক্ষণের জন্য শুয়ে পড়ে। এ সময় তারা বিক্ষোভ করে জসিমের পক্ষে শ্লোগান দেন। পরে এটি ঠিক হয়ে গেছে।
এর আগে শনিবার রাতে সাংসদ দিদার কাউন্সিলর জসিমকে তার বাসায় ডেকে নিয়ে চসিক নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়। সেখান থেকে ফিরে রাতেই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন জসিম। এরই প্রেক্ষিতে সকাল থেকে জসিমের বাসার সামনে জমায়েত হতে থাকে স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।