খলিল চৌধুরী, সৌদি আরব থেকে
সৌদি আররে ওমরাহ পালন করতে গিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়ে গেছেন।
গত ১ মাসেও তারা পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন না। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও এখনো দেশে না ফেরায় যাওয়ায় আতঙ্কিত তাদের পরিবার।
পুলিশ বলছে, নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের সন্ধানে কাজ চলছে।
গত ২৫ জানুয়ারী সৌদি আরব পৌঁছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই চার শিক্ষার্থী।
তারা হলেন -কৃষি অনুষদের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আল আমিন ও শেখ মিজানুর রহমান। তারা ময়মনসিংহের সাদমান ট্রাভেল এজেন্সির যাত্রী।
আর কৃষি অনুষদের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফাহিম হাসান খান এবং কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আব্দুল মোমেন আসেন ঢাকার বিএসএস ট্রাভেলস এজেন্সির মাধ্যমে।
কিন্তু সৌদি আরব পৌঁছে ওমরাহ পালন না করেই হোটেল থেকে পালিয়ে যান বলে জানান ট্রাভেল এজেন্সির মালিকরা।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি জানাজানি হলে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানায় অবহিত করা হয়।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও এখনো দেশে ফিরে না যাওয়া উদ্বিগ্ন তাদের পরিবারের সদস্যরা।
ময়মনসিংহের সাদমান ট্রাভেলস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী মো. হাসানুজ্জামান বলেন, জানুয়ারির ২৫ তারিখ তারা ওমরায় যায়। ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের ভিসার মেয়াদ ছিল। ১ ফেব্রুয়ারি মক্কার ওর্দা হোটেল থেকে পালিয়ে যান তারা।নিখোঁজ ফাহিমের বাবা বলেন, ছেলে যেতে চেয়েছিল, আমি যেতে বলেছি।
নিখোঁজ চারজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তবে ওমরায় যাওয়ার বিষয়টি জানতেন না বলে জানান তাদের রুমমেট ও সহপাঠীরা।
পুলিশ সুপার জানান, নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের সন্ধানে কাজ চলছে।ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান বলেন, এখন পর্যন্ত এ চারজন দেশে ফেরেননি। এটা নিয়ে পুলিশের টিম কাজ করছে।
এদিকে নিখোঁজের এক মাস পর জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমে কাজ করার অভিযোগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় গ্রেফতার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী শেখ ইফতেখারুল ইসলাম আরিফ। এর রেশ কাটতে না কাটতেই এক সঙ্গে চার শিক্ষার্থী নিখোঁজের ঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে।