এস. এম. তারেক :
কক্সবাজার সদরের প্রস্তাবিত ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও খালের উপর নব নির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. টি. এম. রাজা মিয়া সেতু গতকাল ৬ মার্চ শুক্রবার বিকেলে যান চলাচলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে। সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেঃ কর্ণেল (অবঃ) ফোরকান আহমদ। উদ্বোধক ছিলেন রামু কক্সবাজার থেকে নির্বাচিত সাংসদ আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে ঈদগাঁও বাজারের ফুটপাত উন্মুক্ত রাখতে এবং ফুটপাতে টং দোকান ভাড়া না দিতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানান। তিনি উপস্থিতদের স্বরণ করিয়ে দেন , ঈদগাঁও বাজারটি বর্তমানে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ক্যাচমেন্ট এরিয়ার মধ্যে পড়েছে। যে কারনে বাজারের সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা শ্রীঘ্রই উচ্ছেদ করা হবে। নব-নির্বাচিত ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদ ও সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যাদের বিষয়টির উপর নজর রাখার তাগিদও দেন তিনি। বাজারের উপ-সড়কগুলোর প্রশস্ততা যাতে কমপক্ষে ১২ ফুট থাকে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, শুধু দেশের উন্নয়ন হলে হবে না উন্নয়নের পাশাপাশি এলাকার লোকজনকে মানসিকতারও পরিবর্তন ঘটাতে হবে। তিনি ঘোষণা দেন, কক্সবাজারের প্রতিটি উপজেলায় একটি শিশু পার্ক স্থাপন করা হবে এবং এজন্য জায়গাও খোঁজা হচ্ছে। অপরদিকে অনুষ্টানের উদ্বোধক সাংসদ আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল তার বক্তৃতায় বলেন, সেতুটি নির্মানের ফলে জালালাবাদ ও ইসলামাবাদবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হল। লাঘব হল হাজার হাজার মানুষের দুর্দশা। এছাড়া বৃহত্তর ঈদগাঁও’র ভাঙ্গাচোরা সড়ক – উপসড়কগুলো জরুরী ভিত্তিতে মেরামতকল্পে পর্যাপ্ত অর্থ ইতিমধ্যেই বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ঈদগাঁওকে ইতিমধ্যেই আমরা থানায় উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি। শ্রীঘ্রই উন্নীত হতে যাচ্ছে উপজেলায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।

সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব আবু তালেবের সভাপতিত্বে এবং জালালাবাদের ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ইমরুল হাসান রাশেদের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার নুরুল আজিম, ঈদগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম, ইসলামাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান নুর ছিদ্দিক, পোকখালীর ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদ, ইসলামপুরের সাবেক চেয়ারম্যান মনজুর আলম, জেলা যুবলীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির চৌধুরী হিমু, কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন কোম্পানী, জালালাবাদের সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম, ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী পরিষদ সভাপতি শাহেনেওয়াজ মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক রাজীবুল হক চৌধুরী রিকো, সদর উপজেলা আ’লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক শরীফ কোম্পানী, সাবেক ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি , নওশাদ মাহমুদ, ছাত্রনেতা আবু হেনা বিশাদ, ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি আমজাদ হোসেন ছোটন রাজা, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ইউপি সদস্য দিদারুল ইসলাম, আবুবক্কর ছিদ্দিক বান্ডি এবং সদর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মিজানুল হক। উপস্থিত ছিলেন আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠণের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী, ব্যবসায়ী মনছুর আলমসহ এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। প্রায় ২ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সেতুটি নির্মাণ করে। গত ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় দু’পারের প্রায় ৫০ হাজারেরও অধিক মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘব হল। উল্লেখ্য, সেতুটি নির্মাণে সাংসদ আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল প্রয়োজনীয় ভূমিকা রেখেছেন। সেতুটি নির্মিত হওয়ায় এলাকাবাসী তার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে।