হেলাল উদ্দিন, টেকনাফ :
টেকনাফে গহীন পাহাড়ে পুলিশের সাথে গোলাগুলিতে শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত জকিরের এক সহযোগী নিহত হয়েছে। এসময় টেকনাফ থানার (ওসি) তদন্ত এবিএমএস দোহাসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। উদ্ধার। করা হয়েছে অস্ত্র ও গুলি। টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, অপরাধ সংঘটিত করার জন্য টেকনাফ সদর ইউনিয়ন হাবিরছড়া গহীন পাহাড়ী এলাকায় অস্ত্রধারী একদল ডাকাত অবস্থান নিয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৬ মার্চ (শুক্রবার) বিকাল ৪ টার দিকে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকষ দল অভিযানে গেলে ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ী গুলিবর্ষন শুরু করে। ডাকাত দলের ছোড়া গুলিতে পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়। এরপর আত্মরক্ষার্থ পুলিশ সদস্যরা পাল্টা গুলি চালায়।
উভয় পক্ষের গোলাগুলি থেমে যাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহত যুবক মোছনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মোঃ সিরাজুল ইসলামের পুত্র শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত জকিরের ভাগীনা ডাকাত মোঃ অজি উল্লাহ(৩০)।
তিনি আরো জানান, ঘটনাস্থল তল্লাশী করে দেশীয় তৈরি ১টি এলজি অস্ত্র, ৯ রাউন্ড তাজা কার্তুজ,৬ রাউন্ড খালীখোসা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আহত তিন পুলিশ সদস্যকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এ সময় টেকনাফ মোছনী নয়াপাড়া ৯নং ওয়ার্ডের মৃত আবু তাহেরের ছেলে মো: খোরশেদ আলম (৩৯), টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের নজির আহমদের ছেলে মো: সাইফুল ইসলাম (২০) ও টেকনাফ জাদিমোড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প নং- ২৭নং, ব্লক-বি/১১ এর বাসিন্দা আব্দুর রকিমের ছেলে মো: আমিনকে (২৫) আটক করে।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে সেনাবাহিনীর দুটি জ্যাকেট, র‌্যাবের পাঁচটি শাট, ২টি প্যান্ট, আরকান বিজিপির ৫টি শার্ট, ৩টি প্যান্ট, এলজি তিনটি, ৩৬ টি খোসা, তাজাগুলি ১০ রাউন্ড, একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি ৪টি, খোসা ১টি, একটি ম্যাগজিন ও ২২০০ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।