বার্তা পরিবেশক:

টেকনাফে হয়রানির শিকার হয়েছেন এক মৎস্য ব্যবসায়ী ও তার পরিবার পরিজন।  হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাইঙ্গা ঘোনার বাসিন্দা আলী আকবরের পরিবার এই হয়রানির শিকার হয়েছেন। এমনকি তার ঘরবাড়িও জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে আশ্রয়হীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে এই পরিবারটি। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার  কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগীরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, আলী আকবার পেশায় একজন মৎস্য ব্যবসায়ী।  “বিগত ২০১৬ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ড থেকে এমইউপি নির্বাচন করি। আর এই নির্বাচনই আমার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচনের পর থেকে প্রতিপক্ষ আমার পরিবারকে ধ্বংস করতে উঠে পড়ে লাগে। প্রতিপক্ষ টেকনাফ পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারী আনুমানিক রাত ১১টার দিকে এএসআই আরিফুর রহমানসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বাড়িতে হানা দিয়ে আমার বাড়ি ঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। এসময় আমার ৭ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে সাইমা ইয়াছমিন কাজল, ৬ষ্ট শ্রেণীতে পড়ুয়া আসমাউল হোসনা, ৬ শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলে মোঃ আলমগীর, ২য় শ্রেণীর মোঃ ইব্রাহিম ও ১ম শ্রেণীর মুমতাহিনা আক্তারকে ঘর থেকে বাহির করে অন্য ঘরে আটক রেখে তাদের অকট্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারধর করেন পুলিশ ফোর্সরা। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তাদের নামে মামলা দেয়ার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা হয়। এরপর আমার ৮১ বছরের বৃদ্ধ পিতা আবুল বশর, স্ত্রী আরেফা বেগম ও বাড়িতে বেড়াতে আসা এক আত্নীয় রহমান এবং প্রতিবেশি সেলিনা আক্তারকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।”

এসময় তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, “পূর্বে আমার নামে কোন মামলাতো দূরের কথা আমার বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগও ছিলনা। এরপরও প্রতিপক্ষের সাথে আঁতাত করে আমার বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেয়া হল, আমার স্কুল পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের বই, খাতা, স্কুলের ড্রেসসহ পবিত্র কোরআন শরীফ পর্যন্ত পুড়িয়ে দেয়া হল।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ঘটনার দিন দুপুরে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের হোয়াইক্যং কেরোনতলী ফরেষ্ট অফিসের সামনে থেকে সিএনজিসহ আব্দুর রহমান ও আব্দুল মোনাফ নামে দুইজনকে ইয়াবাসহ আটক করেন হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আরিফুর রহমানসহ সঙ্গীয় ফোর্স। পরদিন বৃহস্পতিবার ১৪ হাজার পিস ইয়াবা দিয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় তাকে ১৯ নং আসামী করা হয়। তার বৃদ্ধ পিতা আবুল বশরকে ২ হাজার, স্ত্রী আরেফা বেগমকে ১ হাজার, বাড়িতে বেড়াতে আসা আত্মীয় রহমানকে ২ হাজার এবং প্রতিবেশি সেলিনা আক্তারকে ১ হাজার পিস ইয়াবা দিয়ে মামলা দায়ের করে তাদের কোর্টে প্রেরণ করা হয়।

হয়রানীমূলক এ মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।