সংবাদদাতা:

রামুর বাকঁখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীদের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করিয়ে কার্ড বানিয়ে দিয়েছে রামুর সেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন রামু ব্লাড ডোনার্স সোসাইটি। সেই কার্ড সংরক্ষণ বিষয়েও সচেতন করে দেয়া হয়েছে।

দুইশরও অধিক ছাত্র-ছাত্রীদের রক্ত গ্রুপ নির্ণয় করে তাদের নাম-ঠিকানা ও রক্তের গ্রুপ লিখিতভাবে সংরক্ষন করেছে রামুর কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘রামু ব্লাড ডোনার্স সোসাইটি’।

বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ ) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবী এ সংগঠন বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচী পরিচালনা করেন রামুর ডিজিটাল শিক্ষা নিকেতন বাকঁখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে। কেন রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করাটা জরুরি এ বিষয়টি সকল-স্তরের মানুষদের সচেতন করতেই ‘রামু ব্লাড ডোনার্স সোসাইটি’এ কর্মসূচীর আয়োজন করে থাকে।

স্কুলের শিক্ষার্থী ও গ্রামের মানুষের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হল কেন? এ বিষয়ে ‘রামু ব্লাড ডোনার্স সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা এডমিন ও তরুন সাংবাদিক কফিল উদ্দিন জীবন জানান, থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা ও রক্তদাতার সন্ধানের চিন্তাভাবনা থেকেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রী গ্রামবাসী ও পথচারীদের বোঝানো হয়েছে, বিপদ হঠাৎ করেই আসে। রক্তের গ্রুপ জেনে রাখলে অনেক সুবিধা হয়। তিনি আরোও বলেন, রক্ত গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি সফল করতে আমরা বাকঁখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রশংসনীয় সহযোগিতা পেয়েছি। থ্যালাসেমিয়া বাহক নির্ণয় বিষয়েও আমরা কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।

উচ্চ বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেন, ‘রামু ব্লাড ডোনার্স সোসাইটির এডমিন রাশেদ কামাল,সায়েদ জুয়েল
কার্যকরী সদস্য সপ্তম বড়ুয়া, কানিজ ফাতেমা।

সহ কার্যকরী সদস্য রাশেদ উদ্দিন, মোহাম্মদ রাসেল,রেজাউল,সাগর শর্মা,রেজাউল করিম,সাইফুল ইসলাম রানা, আজিজুর রহমান,শহিদুল ইসলাম,কক্সবাজার ব্লাড ডোনার্স সোসাইটির এডমিন এপলো বড়ুয়া,কার্যকরী সদস্য ইমরুল হাসান বাপ্পি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

‘রামু ব্লাড ডোনার্স সোসাইটি’ আয়োজিত এ ক্যাম্পে রক্ত গ্রুপ পরীক্ষা করেন, কাউয়ার খোপ হাকিম রকিমা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধানশিক্ষক ও বাকঁখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্বাহী পরিচালক কিশোর বড়ুয়া জানান, প্রশংসনীয় এ উদ্যোগ অবশ্যই দৃষ্টান্তযোগ্য। কলেজ শিক্ষার্থীরা রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে এ স্কুলের শিক্ষার্থী ও এ অঞ্চলের মানুষের অনেক উপকার করেছে। গ্রুপ জানা থাকলে সহজেই রক্ত দিয়ে একজন মানুষকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব। রক্ত দেয়া পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ও নি:স্বার্থ উপহার। রক্তের অভাবের কারণে বহু রোগীর প্রাণ সংকটের মুখে পড়ে। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা ও রক্তদান সম্পর্কে গ্রামের অনেক মানুষ কিছুই জানেনা। ‘রামু ব্লাড ডোনার্স সোসাইটি’ আয়োজিত এ কর্মসুচি এ অজ্ঞতা অনেকাংশে দূর করবে।

উল্লেখ্য , রামুর ব্লাড ডোনার্স সোসাইটির এ আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করে কক্সবাজার ব্লাড ডোনার্স সোসাইটি।