অধ্যাপক রায়হান উদ্দিন

“ঠিক এই সময়ে না হোক এবং সবক্ষেত্রে একই প্রকার নাও হতে পারে, কিন্তুু ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি কোননা কোন দিনই ঘটে থাকে।”এই প্রবাদ বাক্যের সত্যতা নিরুপনের জন্য আমাদের বেশী দুরে যেতে হয়না। ইংরেজদের তাবেদার নওয়াব মীরজাফরআলী খাঁ ও তার জৈষ্ঠ পুত্র মীরণের পতনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে তা সহজে জানা যায়।
পলাশীর প্রান্তরে মীর জাফর আলী খাঁ ইংরেজ বণিকদের নিকট বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার স্বাধীনতা বিক্রয় করে সম্ভবত ভেবেছিলেন যে, এর বিনিময়ে তিনি পুত্র আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে মসনদে চিরকাল নির্বিঘ্নে দখল করে যেতে পারবেন। নবাব আলীবদর্ীখাঁর অনুগ্রহে সামান্য বকশীর পদ হতে সেনাপতি হওয়া এবং এর পরে মুর্শিদাবাদের মসনদ প্রাপ্তি কম সৌভাগ্যের কথা নয়।এই দ্রুত উন্নতিতে তার মস্তিস্কে বিকৃতি ঘঠে নাই এটি জোর করে বলা যায় না। তার হয়তো এটি জানা ছিলনা যে, উত্থান যার যত আকস্মিক পতনও ঠিক তার ততই দ্রুত হয়ে থাকে। ইতিহাসে এর নজীর বিরল নয়।আজ যারা নিজেদের স্বার্থের খাতিরে তাকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করলেন, দু’দিন বাদে তারাই অনুরুপ স্বার্থের তাগিদে উক্ত পদ হতে অপসারন করবেন। এটা বিচিত্র কিছুই নয়। মীর জাফরের ন্যায় প্রবীণ বিচক্ষন ব্যক্তি যা কল্পনা করতে পারে নাই অর্বাচিন মীরনের নিকট তা আশা করা বৃথা। ইংরেজদের দেওয়া ‘ছোট নওয়াব’ খেতাবে তার মস্তিস্কের বিকৃতি ঘঠেছিল।গুপ্তঘাতকের শানিত তরবারীর আঘাতে নিরুপায় ও অসহায় নওয়াব সিরাজউদ্দৌলার জীবনের অবসান ঘটাবার সময় মীরনের সম্ভবত মনে ছিলনা মোহাম্মদী বেগের মতো পাষন্ড নিশ্চয় সর্ব কালে ছিল, থাকবে। মুর্শিদাবাদের মসনদে নিজেকে চিরস্থায়ী করে রাখার জন্য মীরন, নওয়াব আলীবদর্ীখাঁ এবং সিরাজউদ্দৌলার পরিবারবর্গ ও আত্মীয়স্বজনদের অনেককে পদ্মার গর্ভে নিমজ্জিত করে। আততায়ী মীরণ এাকবার ও ভেবে দেখেনি পদ্মার বক্ষে না হোক তাকে এই মহাপাপের প্রায়শ্চিত্ত কোন না কোন দিন করতে হতে পারে। ইতিহাস কখনো ভুল করেনা।
মীরনের কথাই বলা যাক, কারণ পিতার আগে তাকেই প্রথমে প্রায়শ্চিত্ত করতে হয়েছিল। পুর্ণিয়ার শাসনকর্তা খাদিম হোসেন ছিলেন খাটি মুসলমান। াইংরেজ বনিকদের ক্রমাগত উৎপীড়ন, বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার ভবিষ্যত দেখে তিনি শংকিত হন।মীর জাফরের মতো তিনি ইংরেজদের আধিপত্য স্বীকার করতে তিনি কিছুতেই রাজি ছিলেন না।তার অর্থ ও ঐশ্বর্য্যের উপর মীর জাফর ও ইংরেজদের লোলুপ দৃস্টি পড়েছিল অনেক আগে থেকেই। ইহা খাদিম হোসেনের অজানা ছিলনা।অর্থের লালসায় ও মীরফাফর ও ইংরেজদের সম্মিলিত বাহিনী খাদিম হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। মীরন এই বাহিনীর অন্যতম সেনাপতি নিযুক্ত হন। তিন বৎসর পুর্বে ঠিক এই তারিখে (১৭৫৭ সালের ২২ জুন) নওয়াব সিরাজদ্দৌলা পলাশী প্রান্তরে সন্য সমাবেশ করেছিলেন, তিন বছর পরে মীরন ক্যাপটেন নকা্র এর সাথে মিলিত হন। এদিকে খাদেম হোসেন রনে ভঙ্গ দিয়ে অনেক আগেই ধনসম্পদ নিয়ে সরে পড়েছিলেন। ক্যাপ্টেন নকা্র ধনসম্পদ কিছুই হাতে না পেয়ে হতভম্ব হয়ে পড়েন। ঠিক এই সময়ে মীরন তথায় পৌছে। বলাই বাহুল্য পপত কার্যে মিরন দারুন উৎসাহ বোধ করতো। কোন রুপ লাভক্ষতি হিসাব না করে মীরন ক্যাপটেন নকো্রর পশ্চাদনুসরন করে। ২ রা জুলাই তারা একটা অনুচ্চ পাহাড়ের নিকট পৌছে। পাহাড়ের চারিদিকে শালবৃক্ষের ঘন বন ছিল।অনেক কস্টে মিরন তার দলবল সহ একটা স্থান করে তথায় শিবির সন্নিবেশ করে। একটু পরে ভিষন ঝড় উঠে । মীরন সাধারনত অনুচর পরিবেস্টিত হয়ে একটি বিরাট আকারের শিবিরে চলে যায়। সুযোর্াদয়ের পরে মীরন তার আপন শিবিরে ফিরে আসে।কিন্তুু সারারাত্রি জাগরনের ফলে ক্লান্ত হয়ে সে তথায় শুয়ে পড়ে।অনেক্ষন এপাশ ওপাশ হয়ে ঘুম যখন আসছিলোনা তখন সভা গায়ককে ডাকা হলো গান শুনাবার জন্যে।এক অনুচর ছুটে গেলো শরীর মর্দনকারী আনার জন্য।সভা গায়ক গান শেষ করে কি যেন বলতে চাচ্ছিল তখন বিরাট শব্দে শিবিরে বজ্রপাত হয়। বজ্যপাতের ভীষন শব্দে বাইরের লোকেরা এসে দেখে মীরনের শিবিরের অবশিষ্ট কিছুই নেই। একেবারে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।ইংরেজ শিবিরে এই সংবাদ পৌছানো হলো।পরে ইংরেজ সেনাপতির আদেশে মীরনের মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ আরম্ভ হয়।বিশেষ পরীক্ষার পর তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার সম্ভব হয়, তার মধ্যে একটি মীরনের। বজ্রপাতের সময় আকাশে একবিন্দু মেঘ ছিলনা। উপস্থিত সকলে একে বিধাতার অভিশাপ ভেবে নির্বাক দাড়িয়ে রইলো। বজ্রপাতে মীরনের মৃত্যুকে অনেক ইংরেজ ঐতিহাসিক বানোয়াট বলে অভিহিত করেন। মীরনের বিশ্বস্ত অনুচর তখন প্রকাশ করে যে, নওয়অব আলী বদর্ীখাঁর কন্যা ঘসেটি বেগম ও আমিনা বেগমকে (সিরাজের মা) পদ্মাবক্ষে নিমজ্জিত করে হত্যা করার সময় তাঁরা নাকি অভিশাপ দিয়ে ছিলেন যে, বজ্রপাতে যেনব মীরনের মৃত্যু হয়। আশ্চর্য্য সেই বজ্রপাতে মীরনের মৃত্যু হয়।যতদুর জানা যায় “বিনা মেঘে বজ্রপাত”শব্দটি সেই থেকে এদেশে প্রচলিত হয়ে আসছে।মীরনের মৃতদেহ রাজমহলের নিকট যেখানে সমাহিত করা হয়।উহার নিকটে গঙ্গার ওপারে হতভাগ্য সিরাজ ধৃত হয়েছিলেন। আশ্চর্যের বিষয় মৃত্যুর সময় মিরনের বয়স সিরাজের ন্যায় ২৪ বছর হয়েছিল।ঠিক একই সময়ে একই তারিখে উভয়ের মৃত্যু হয়।ইতিহাস এখানেই থেমে থাকেনি।
সিংহাসন নিস্কন্টক রাখার জন্য মীরন সিরাজদ্দৌলার কনিষ্ঠভ্রাতা মেহেদী সিরাজকেও হাতীর পায়ে পিষ্ঠ করে অশেষ যন্ত্রনা দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল।অথচ আল্লার এমনি মহিমা যে, সিংহাসন তার ভাগ্যে তো জুঠেই নি, উপরন্তুু তার সন্তান সন্ততিও আজীবন সিংহাসনে বসতে পারেনি।মিরজাফরের বয়স্ক পুত্রকে মুর্শিদাবাদের মসনদ প্রদানের কথা উঠে। কিন্তুু ইংরেজরা সুকৌশলে এ প্রস্তাব এড়িয়ে যায়। এমন কি তার মুত্যুর পর ইংরেজ বণিক কোম্পানীর কাউন্সিলের সদস্যগন মীরনের পুত্রের দাবী সরাসরি অস্বীকার করে।কোন কোন ঐতিহাসকি ্ইংরেজদের এ অনমনীয় মনোভাবের পিছনে অর্থলোভের কথা উল্লেখ করেন। মীরনের পুত্রকে সুবাদার করা হলে স্বভাবতই ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানীর প্রতিনিধি হিসেবে কলিকাতার কাউন্সিল তার রিএজেন্ট অথঅৎ অভিভাবক নিযুক্ত হতেন ।কিন্তুু তেমন অবস্তায় মিরনের পুত্রের নিকট ঘুষ আদায়ের কোন সুযোগ থাকেনা। অধিকন্তুু ইংরেজরা জানতেন মীরজাফরের স্ত্রী মনিবেগমের প্রচুর অর্থ ও ধন সম্পদ রয়েছে। মীরজাফরের দারুন অভাবের দিনে তার স্ত্রী তাকে এক পয়সাও সাহায্য করেনি।তাই সুযোগ বুঝে ইংরেজরা মীরজাফরের পুত্র নাদেম উদদ্দৌলাকে সুবার নিযুক্ত করলে প্রচুর ঘুষ আদায় করা যাবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল। নাদেমউল্লা হতে আদায়কৃত অর্থ ইংরেজরা নিম্নোক্ত হারে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছিল।
১. মি: জনস্টোন ২৩৭০০০
২. মি: স্পেনসর ২০০,০০০
৩. মি: সিনিয়র ১,৭২৫০০
৪. মি: মিডলটন ১,২২,৫০০
৫. মি: লেসেষ্টার ১,১২,৫০০
৬. মি: গ্রেভেল ১,০০,০০০
৭. মি: বার্ডেট ১,০০,০০০
৮. মি: গ্রে ১,০০,০০০
৯. মি: গিডিয়ন জনস্টোন ১,০০,০০০
মি: গিডিয়ন জনস্টোন কাউন্সিলের সদস্য ছিলোনা বলে তার ভাগ্যে কম টাকা পড়ে।কেবল মাত্র এ্ই ঘুষ দিয়েই মনি বেগম ইংরেজদের হাত হতে রেহাই পাননি।ইংরেজরা নানা অজুহাতে অর্থ আদায় করে তাকে সর্বশান্ত করেছিল। এখানে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির সমর্থনে বলা আবশ্যক যে, ইরেজদের নাজরানা বাবদ যে পরিমান অথ্য মীর কাসীমকে হাত ছাড়া করতে হয়েছিল, সে পরিমানগুলোর অলংকার তিনি নাকি সিরাজের গ্রেফতারের সময় পত্নী লুৎফুন্নেছার নিকট হতে ছিনিয়ে নিয়েছিলো।
শেষ জীবনে কুষ্টরোগাক্রান্ত মীরজাফর আলী খাঁর জীবন সুখে অতিবাহিত হয়নি। নানা দুশ্চিন্তা ও অতীত কার্যের জন্য অনুশোচনায় তার মন ভারাক্রান্ত হয়ে ভেঙ্গে পড়েছিল।তদুপরি মীরনের মৃত্যু সংবাদ পৌছার পর নগরবাসী আনন্দে নৃত্য করতে থাকে। মীরজাফরের অনুচরবর্গ তাদের উক্ত কার্য হতে নিবৃত্ত করতে চাইলে বিক্ষুব্দ জনতা তাদের প্রহার করে। এর পর জনতা মীরজাফরের প্রাসাদে প্রবেশ করে । মীরজাফর তাড়াতাড়ি হেরেমে আশ্রয় গ্রহন করে।মহিলারা তাকে ঘিরে রাখে। জনতাদের মধ্য হতে কেউ কেউ মহিলাদের ও অপমানিত করে। অবস্থা দেখে মীর কাসেম তথায় উপস্তিত হন।জনতার অবস্থা বেগতিক দেখে তিনি তাদের কাছে ক্ষমাপ্রাথর্ী হন।উত্তেজিত সন্যদের লক্ষ্য করে তিনি বলেন যে, একটা নির্দ্দিস্ট তারিখের মধ্যে তিনি সন্যদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করবেন। গেরেমের মহিলারা অনুরুপভাবে অনুনয় বিনয় করতে থাকে। জনতার ক্রোধ কিছুটা উপশম হলো কিন্তুু হেরেমের অনেক মুল্যবান জিনিষ জনগন কর্তৃক ভাংচুর এর ফলে নস্ট হয়ে যায়। প্রাসাদের উপর হামলার সংবাদ প্রচারিত হওয়ার ফলে শহরে দাঙ্গা হাঙ্গামা আরম্ভ হয়ে যায়।তিন দিন পর মীর কাসিম আলী খাঁর প্রচস্টায় পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
মুর্শিদাবাদে গোলমালে খবর কলকাতায় আসলে কাউন্সিলের সদস্যগন চিন্তিত হয়েছিলেন। কিন্তুু মীর জাফরের প্রতি তাদের তেমন কোন সহানুভুতির উদ্রেক হয়নি।তারপর তারা এই ঘটনাকে মীরজাফরের বিরোদ্ধেএকটি অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। কাউন্সিল মির কাসেম আলীকে কলকাতায় ডেকে তার সাথে একটি চুক্তি পত্র সই করেন।অতপর কর্ণেল ক্যালডের নেতৃত্বে ভান্সিটার্ট মুর্শিবাদে যাত্রা করেন। ১৭৬০ সালে ১৪ ই অক্টোবর কাসিম বাজার পৌছার পর মীরজাফরকে সংবাদ পাঠানো হয়।পরদিবস মীরজাফর তথায় উপস্থিত হয়ে ভান্সিটার্টের সহিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন্ ভান্সিটার্ট মীরজাফরকে তার মন্ত্রিসভাতে কিনুরাম, মোহনলাল (রাজা মোহন লাল নহেন) চিকন্ প্রভৃতিকে বহিস্কার করে তদস্থলে মীরকাসিম প্রমুখ উপযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়োগ দেবার এবং তাহাদের সমস্থ আদেশ মেনে নিয়ে মুর্শিদাবাদ প্রত্যাবর্তন করেন। মীরজাফরের সভাসদ কিনুরাম সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে, ভান্সিটার্টের প্রস্তাব মেনে নিলে তাহার যে সামান্য ক্ষমতা আছে তা আর থাকবেনা।অবশ্য মীর জাফরের অথ্য প্রতিপত্তি যা ছিল তা অনেক আগেই ইংরেজদের হাতে চলে গিয়েছিল।এখন ক্ষমতাটুকু যায় যায় দেখে তিনি ভান্সিটার্টের প্রস্তাব অগ্রাহ্য করবেন মনস্থ করলেন।১৬ অক্টোবর ভান্সিটার্ট মুর্শিদাবাদ আসলে তিনি মীর জাফরের সহিত দেখা করেন। এর পরের দিন মীর জাফর মীর কাসিম আলী খাঁকে প্রধান মন্ত্রি হতে দিতে পারে না জানালেন।কিন্তুু ভান্সিটার্ট প্রস্তাবটি পুণর্বিবেচনার জন্য একদিনের সময় দিলেন। নির্দ্দিস্ট সময়ের মধ্যে কোন উত্তর দিতে না পারায় ২০ অক্টোবর সুর্যোদয়ের পুর্বে ইংরেজ ও মীর কাসিমের সম্মিলিত বাহিনী মীরজাফরের প্রাসাদ ঘিরে ফেলে। মীরজাফর নখর ও দন্তহীন সিংহের ন্যায় কিছুক্ষন তর্জন গর্জন করে অবশেষে কর্ণেল ক্যালডের নিকট ্আত্মসমর্পন করে।অবশ্য ইংরেজরা তাকে মুর্শিদাবাদে অবস্থানে আপত্তি জানায়নি।এর পরেও মীর জাফর মুর্শিদাবাদে থাকা নিরাপদ মনে করেন নি।তাই তিনি কলকাতায় যাবার সিদ্ধান্ত নেন।কর্ণেল ক্যালড অনুমতি দেন।তার পর মীরজাফর নৌকা যোগে ইংরেজ প্রহরায় মুর্শিদাবাদ ত্যাগ করেন। মুর্শিদাবাদের একটি প্রানীও তাকে বিদায় জানাতে আসেনি।ঠিক এর তিন বছর আগে নবাব সিরাজদ্দৌলাও পলাশীর যুদ্ধে পরাজিহত হয়ে নৌকাযোগে মুর্শিদাবাদ ত্যাগ করেছিলেন। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি এভাবেই হয়।সেখানে মীর কাসিম আলী মীর জাফরের জন্য কয়েকটি বাড়ীর ব্যাবস্থা করেছিলেন।কিন্তু মীর জাফর চিৎপুরের বাড়ীতেই বেশীর ভাগ সময় থেকেছিলেন। সিরাজরে পবিত্র আত্মা হয়তো তাকে ক্ষমা করেছিল । কিন্তু ইতিহাস যে ভুলেনাই, মীরজাফরের সিংহাসন চ্যুতিই তার উৎকৃস্ট প্রমান।এখানে একটা কথা উল্লেখ না করে পারছিনা। সিরাজের পলাশী যুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করেছিল তাদের পরিণতি খুব ভয়ানক হয়েছিল। এখানে লেখার কলেবর আর না বাড়িয়ে পরবতর্ীতে তা লেখার ইচ্ছা রইল।