চট্টগ্রাম সংবাদদাতা
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য কাজ করি, কাজ করে যাবো। আমি জাতির জনকের আদর্শ ধারণ করি। আমি কাজের মাধ্যমে তা প্রমাণ করে দেব। আমি হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আসি নি।

সোমবার (২ মার্চ) দুপুর ১২টায় রিমা কমিউনিটি সেন্টারে বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ১৯৬৯ সালে আমি চট্টগ্রাম সরকারি মুসলিম হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র থাকা অবস্থায় দেশের মুক্তি আন্দোলনের মিছিলে শামিল হয়েছিলাম। ১৯৭৫ সালে জাতির জনককে নির্মমভাবে হত্যা করার সময় চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলাম। কলেজে যখন ছাত্রলীগ করার কেউ ছিল না তখন ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি। পাঁচজন বন্ধুকে নিয়ে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান দিয়েছি।

স্মৃতিচারণ করে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আমাকে অনেকবার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমার তো বেঁচে থাকার কথা নয়, তবুও বেঁচে আছি। আমি যে বেঁচে আছি তা জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদান। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে লড়েছি, জামায়াত-শিবিরকে উৎখাত করেছি। তা কি নেতৃবৃন্দ অস্বীকার করতে পারবেন?

তিনি বলেন, সুন্দর বক্তব্য দিয়ে, সুন্দর কথা বলেই আমাদের দায়িত্ব শেষ নয়। আমি অন্তরে কী ধারণ করি, বাস্তবে কী ভাবি সেটাও বিবেচ্য বিষয়। আমি যদি সুন্দর কথা বলি আর অসুন্দর কাজ করি তাহলে মানুষের আস্থা অর্জন করা যাবে না।

আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমরা জড়িত নই, আমরা কিছু জানি না। নানা অভিযোগ থাকার পরেও কাউন্সিলর প্রার্থীদের কারা মনোনয়ন দিয়েছেন? কারা নেত্রীকে কোণঠাসা করেছেন? তারা কি জেনেশুনে করেছেন? নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কারা এসব করেছেন? যারা করেছেন একবারও কি সংগঠনের কথা ভেবেছেন?

যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা যারা সংগঠনে এখন আছি তারা একদিন সরে যাবো। আমাদের সরে যাওয়ায় কাল্পনিক শূন্যতা তৈরি হবে। এ পদগুলো পূরণ করবেন আপনারা।

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে সামস পরশের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিলের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী, যুবলীগ নেতা শেখ নাইমসহ যুবলীগের কেন্দ্রীয়, চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা কমিটির নেতারা।