জেলার বহুল প্রচারিত দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকায় “বার্তা পরিবেশক” হিসেবে প্রকাশিত বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ইয়াবা নিয়ে আটক হওয়া আনছার বাহিনী সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। উক্ত সংবাদে যে ইয়াবা মামলার বিষয়ে আমাকে জড়ানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও মনগড়া । উক্ত ইয়াবা আটকের ঘটনায় আর কোন সংশ্লিষ্ঠতা না পেয়ে মামলার পরবতর্ীতে তদন্ত কর্মকর্তা অভিযুক্তদের আসামী করে চার্জসীট দাখিল করলে আদালত আমাকে ওই মামলা থেকে খালাস দিয়ে দেয়।
আর যে কার গাড়ির বিষয়ে বলা হয়েছে সেটি আমার হলেও বিভিন্ন জায়গায় ভাড়ায় ব্যবহার হত। কিন্তু চালকদের অতিলোভের হাত থেকে মুক্ত করতে যা পরবতর্ীতে সেই কার গাড়ি বিক্রি করে দিয়েছি, বর্তমানে আমার কোন গাড়ি নেই। যদিও গাড়িটি আমার ছিলনা যার মালিকানা আমার মা।
সংবাদে বলা হয়েছে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে আনছার বাহিনী! যা এলাকায় হাস্যরস সৃষ্টি করেছে। কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে আমার নামে কোন বাহিনী আছে তাহলে কক্সবাজার ছেড়ে চলে যাব। আমি সাধারণ জীবন যাপন করতে অভ্যস্ত, বাহিনী নিয়ে চলাফেরা করার মতো কোন অন্য অপরাধের সাথে কখনো জড়িত ছিলাম না, এখনো নেই। সংবাদে আরো বলা হয়েছে ওয়ার্ল্ড বীচ রিসোর্টে বড় অংশের মালিকানা রয়েছে আমার। যা উদ্ভট বটে।
আমি সাধারণ ঘরের সন্তান হয়েও কলাতলিতে গড়ে তুলছে আনছার রিসোর্ট। একটি বিষয় স্পষ্ট করে বলি, আমি কোন ক্ষেতমজুর বা দিনমজুরের সন্তান না, আমার বাবা ছিলেন একজন জেলার প্রতিষ্ঠিত চিংড়ি পোনা ব্যবসায়ী ও ভারতে চিংড়ি মাছ রফতানিকারক।
একটু খবর নিয়ে দেখুন কলাতলীস্থ ঐতিহ্যবাহী কয়েকটি পরিবারের মধ্যে আমার পরিবার একটি। তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি যা রয়েছে তা বর্তমান বাজার মূল্যও শত কোটি টাকার। আমার পিতা আমার পরিবারের নামে যেসব জমি দলিল করে দিয়েছে তা বিক্রি করলেও শত কোটি টাকা পাব। তবে হ্যাঁ আমার ভিটাবাড়িটি রাস্তার পাশে হওয়ায় পুরোনো বসতঘর ভেঙ্গে একটি রিপোর্ট তৈরি করতে যাচ্ছি, তাও আমার একার নয় আমার পরিবারের সকল সদস্যদের। তবে আমি পরিবারে বড় সন্তান হওয়ায় আমাকে সব দেখ ভালো করতে হয়। এই রিসোর্ট নির্মাণে অধিকাংশ টাকা বিভিন্ন ব্যাংক, এনজিও থেকে লোন নেওয়া ও রিসোটের্র শেয়ার বিক্রি করে নেওয়া আর কিছু টাকা পৈত্রিক সম্পদ বিক্রি করে করা হচ্ছে।
আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি আমার বা আমার পরিবারের কোন সদস্যদের নামে ক্রয় করা কোন ভূমি সম্পদ নেই, যা আছে সব আমার পৈত্রিক ও নানার বাড়ি থেকে ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া জমি।
আমি উক্ত সংবাদের তিব্র নিন্দা জানিয়ে বলছি দেশের সমস্ত তদন্ত সংস্থা ও আইনশৃঙ্খারক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনুরোধ করে বলব দয়া করে আমার বিরুদ্ধে আনা বানোয়াট কল্পকাহিনীর বিষয়ে তদন্ত করুন, কোন অভিযোগ প্রমাণিত হলে সমস্ত দায়বার বহণ করে যে কোন শাস্তি মাথা পেতে নিব। মূলত একটি কুচক্রি মহল আমার বাবার মৃত্যুর পর থেকে আমাদের সম্পদ হাতিয়ে নিতে উঠেপড়ে লেগেছে। এবং আমার রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থানকে ধ্বংস করে দিতে চক্রটি আমার বিরুদ্ধে একটি গল্প তৈরি করেছে মাত্র। আমি এ নিয়ে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী
আনছারুল করিম
পিতা মৃত-মোঃ আলী
কলাতলি, কক্সবাজার।