ইমাম খাইর, সিবিএন
কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে।
শনিবার সকাল ৯ টায় বার ভবনের দ্বিতীয় তলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে রয়েছেন মোহাম্মদ শাহজাহান খান। কমিশনের সদস্যরা হলেন- মোহাম্মদ বাকের, ফরিদুল আলম, শ্যামল দত্ত, সিরাজুল ইসলাম।
সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত আধা ঘণ্টায় ৩০টি ভোট পড়েছে বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহজাহান খান জানিয়েছেন।
বিকাল ৩টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ভোটের নির্ধারিত সময়ের আগে জেলাবার প্রাঙ্গণ আইনজীবী ও প্রার্থীদের উপস্থিতির সরগরম হয়ে ওঠে। সারিবদ্ধ হয়ে ভোট প্রার্থনা করতে থাকে প্রার্থীরা। আইনজীবীদের এই ভোট নিয়ে আদালত অঙ্গনে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। দুই প্যানেলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে চরম বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ লক্ষ করা গেছে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশ অবস্থান করছে।
সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত কোথাও বিশৃঙ্খলা দেখা যায় নি।
প্রতিবারের মতো এবারও দুটি প্যানেলে ভোট হচ্ছে।
নির্বাচনে ১৭টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সম্পাদকসহ ৭টি সম্পাদকীয় পদ এবং অপর ৯ জন কার্যকরি পরিষদের সদস্য পদের ভোট হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত ও সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে অ্যাডভোকেট আ.জ.ম মঈন উদ্দীন-জিয়া উদ্দিন আহমদ পরিষদ এবং জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে অ্যাডভোকেট নুরুল মোর্শেদ আমিন-অ্যাডভোকেট তাওহীদুল আনোয়ার পরিষদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির প্রকাশিত ভোটার তালিকায় মোট ভোটার সংখ্যা ৭১৩ জন। তন্মমধ্যে, কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতি ভবন ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহন করা হবে ৬৬৬ জনের। চকরিয়া উপজেলা চৌকি আইনজীবী সমিতি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহন করা হবে ৪৭ জনের।
নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত ও সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে যারা অংশ নিচ্ছেন তারা হলেন- সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট আ.জ.ম মঈন উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক পদে জিয়া উদ্দিন আহমদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নুরুল আমিন, সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী, সহ-সাধারণ সম্পাদক (সাধারণ)অ্যাডভোকেট হোসেন রাহাত ফিরোজ, সহ-সাধারণ সম্পাদক (হিসাব) অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, পাঠাগার ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক অ্যাডভোকেট দিদারুল আলম, আপ্যায়ন ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আয়ুবুল ইসলাম, সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহাক-১, এডভোকেট শ্রীধর দত্ত বাদল, অ্যাডভোকেট রফিক উদ্দিন, অ্যাডভোকেট বেদারুল আলম, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট নাহিদা খানম কক্সী, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হারেছ ও অ্যাডভোকেট তাজমিন হুদা চৌধুরী।
অপরদিকে, জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচনে যারা অংশ নিচ্ছেন তারা হলেন- সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট নুরুল মোর্শেদ আমিন, সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাওহীদুল আনোয়ার, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সাদেক উল্লাহ, সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট আমির হোসেন-২, সহ-সাধারণ সম্পাদক (সাধারণ) অ্যাডভোকেট তাহের আহমদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক (হিসাব) নরুল আজিম, পাঠাগার ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম টিপু, আপ্যায়ন ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট কুতুব উদ্দিন, ৯টি সদস্য পদে অ্যাডভোকেট দীল মোহাম্মদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম ছিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট সব্বির আহমদ, অ্যাডভোকেট ছৈয়দ আলম-২, অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট আবুল কাসেম মোহাম্মদ জুনাইদ, অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুন, অ্যাডভোকেট রিদুওয়ানুল হক।
ভোটাররা জানিয়েছে, কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন হচ্ছে অন্য সংগঠনের চেয়ে আলাদা। কারণ, সব ভোটাররা উচ্চ শিক্ষিত এবং পেশায় আইনজীবী। তাই, প্রতিটি পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। বিশেষ করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ভোট হবে।
আওয়ামী পন্থী প্রার্থীদের আশা, চলমান বারভবন নির্মাণ তাদের বিগত কমিটির সফলতার অংশ। বারের উন্নয়ন ও কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষায় তাদের দরকার।
এছাড়া তাদের প্যানেল নির্বাচিত হলে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা এনে দিবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা। যা অনেক নবীন আইনজীবীকে আশান্বিত করেছে।
অপরদিকে বিএনপিপন্থি প্যানেলের আশা, বিগত সময়ে তাদের মধ্যে ব্যাপক গ্রুপিং ছিল। অনেকে প্রকাশ্যে বিরোধী করেছে। যার কারণে জয়ের পথে হেরেছে বারবার। এবার কিন্তু তারা ঐক্যবদ্ধ। আকাট্টা হয়ে কাজ করছে। তাদের ঐক্যবদ্ধতাই সিংহভাগ পদে জয় লাভ করবে।
মোট ভোটারের ৬০ শতাংশের বেশী তাদের সমর্থিত বলেও দাবী জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের।