সংবাদদাতা
পর্যটন শহরের কলাতলী এলাকায় প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে চল্লিশ জন ফ্ল্যাট মালিকের কাছ থেকে চাঁদা দাবীর অপরাধে দুই মাস্তানকে গ্রেফতার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ। শুক্রবার ভোর রাতে বাহারছড়া এলাকা থেকে মো: সাদ বিন দেলোয়ার ও মো: আনাস বিন দেলোয়ার নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় থানা পুলিশ।

জানা যায়, শহরের কলাতলী রোডে গণপুর্ত বিভাগের লীজ নেয়া (‘এ’ ব্লকের ১৩নং প্লট) দেলোয়ার হোসেনের (দেলোয়ার প্যারাডাইস) ভূমির ওপর দালান নির্মাণ করাকালীন ৪০জন ক্রেতা ডেভলপারের নিকট থেকে ৪০টি এপার্টমেন্ট ক্রয় করে কয়েক বছর ধরে ভোগদখল করে আসছিলেন। পরবর্তীতে ওইসব এপার্টমেন্টের ওপর ল্যান্ড ওনার দেলোয়ারের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। কোন কারণ ছাড়া ফ্ল্যাট মালিকদের ওইসব ফ্ল্যাটে বিদ্যুৎ-পানি ইত্যাদি লাইন কেটে দিয়ে হয়রানি করতে থাকে। ফ্ল্যাটগুলো জবরদখলে নিতে ফঁন্দি আঁটে ল্যান্ড ওনার দেলোয়ার হোসেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ দায়ের করলে জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

এদিকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ফ্ল্যাট মালিকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গণপুর্ত প্রকৌশলীসহ চারজন সরকারী কর্মকর্তা সোমবার বিকেলে ওইসব ফ্ল্যাটের স্পেস পরিমাপ করতে যান। এসময় ল্যান্ড ওনার দেলোয়ার পরিমাপে বাধা প্রদান করে। হুমকি দিয়ে ফ্ল্যাট মালিক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদসহ সবাইকে ওই ফ্ল্যাট থেকে বের করে দেয়া হয়। তিনি জোর গলায় বলতে থাকেন ফ্ল্যাট ভোগদখল ও ভাড়া দিতে গেলে তাকে (দেলোয়ার) প্রতিমাসে ৩ লক্ষ ৬০হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে হবে। এ ঘটনায় সালাহ উদ্দিন আহমদ সদর মডেল থানায় এজাহার দিলে পুলিশ তদন্ত ক্রমে ঘটনার সত্যতা পেয়ে দেলোয়ার হোসেনের দুই পুত্র সাদ ও আনাসকে শুক্রবার ভোরে গ্রেফতার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়। ওসময় দে;লোয়ার হোসেন কৌশলে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে। সদর মডেল থানার ওসি জানান, চাঁদাবাজি মামলায় আটক দু’জনকে শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।