ইমাম খাইর, সিবিএন
কক্সবাজার বদর মোকাম জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট দানবীর আলহাজ্ব নুরুল হুদা চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহ ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন।

আজ জুমাবার বেলা ১ টার দিকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তিনি ১ ছেলে ও তিন মেয়ের জনক।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বদর মোকাম জামে মসজিদের কর্মকর্তা মাওলানা নুরুল হক চকোরী।

আলহাজ্ব নুরুল হুদা চৌধুরী কক্সবাজার শহরের বদরমোকাম নিবাসী মরহুম আবদুল ওদুদ ও মরহুমা শহর বানু’র জ্যেষ্ঠ পুত্র।

তিনি কক্সবাজার জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব রফিকুল হুদা চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব একরামুল হুদা চৌধুরী ও সাবেক কাস্টমস কমিশনার শামশুল হুদা চৌধুরী বড় ভাই।

কক্সবাজারের এই প্রসিদ্ধ জমিদার দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবশেষে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে আইসিইউতে নেয়া হয়।

নুরুল হুদা চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বদরমোকাম মসজিদ পরিচালনা কমিটির দায়িত্বশীলবৃন্দ।

মৃত্যুর খবরে জুমার নামাজের পর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল খালেক নিজামী।

আলহাজ্ব নুরুল হুদা চৌধুরী রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সাবেক সভাপতি, জেলা ক্রিড়া সংস্থার সাবেক সহসভাপতি ও বিবিসি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান হিসেবে অনেক দিন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একজন ভাষা সৈনিক ছিলেন।
কক্সবাজার বদর মোকাম এলাকার প্রবীণ মুরব্বী আলহাজ্ব নুরুল হুদা চৌধুরী গুরুতর অসুস্থ হয়ে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে ১৯ জানুয়ারী থেকে আইসিইউতে ছিলেন।
আলহাজ্ব নুরুল হুদা চৌধুরীর একমাত্র ছেলে আবদুল আল মাসুদ রোমেল জানান, তার পিতাকে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউ বা ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) ভর্তি করা হয়েছিল।
সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় দেশের বাইরে নিতে চাইলেও শারীরিক কারণে সম্ভব হয়নি। সেকারণে চট্টগ্রামে নিয়ে আসার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
উল্লেখ্য, আলহাজ্ব নুরুল হুদা চৌধুরী দীর্ঘধীন যাবৎ বিভিন্ন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।