ভারতের রাজধানী দিল্লির বিভিন্ন স্থানে সিএএর সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এখনও থামেনি। ফলে সেখানকার পরিস্থিতি রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছে। এর মধ্যেই দিল্লির একটি মসজিদে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবারের মতো ভারতে দু’দিনের সফর করেছেন। এই সফরে তিনি দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ট্রাম্প দিল্লিতে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই দিল্লির বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
ইতোমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ওই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা গেছে, একদল লোক একটি মসজিদের মিনারে উঠছে এবং সেখানে একটি পতাকা স্থাপনের চেষ্টা করছে। তারা মসজিদের মিনারে উঠে মাইক ভেঙে ফেলে দেয় এবং সেখানে হনুমানের ছবি সম্বলিত একটি পতাকা উত্তোলন করে।
কিছুক্ষণ পরেই আরও এক ব্যক্তি একটি ভারতীয় পতাকা নিয়ে আসে এবং সেটাও উত্তোলন করা হয়। ওই এলাকার দোকানগুলোতেও হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
রোববার উত্তর দিল্লির মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অন্তত তিনটি স্থানে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকেই সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। নাগরিকত্ব আইনের বিরোধী ও সমর্থকদের সংঘর্ষের সময় পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ, লাঠি চার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এ সময় দুই পক্ষ পরস্পরকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর নিক্ষেপ করে। টেলিভিশনে প্রচারিত কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সংঘর্ষস্থলের আশপাশের ভবনে আগুন জ্বলছে।
সোমবার একটি টায়ার মার্কেটে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। একটি ভিডিও ফুটেজে একদল লোককে জয় শ্রী রাম বলে চিৎকার করতে দেখা গেছে। মঙ্গলবার রাতে জাফরাবাদ, মৌজপুর, চাঁদবাগ, কারওয়াল নগরে কার্ফু জারি করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েনের দাবি উঠেছে। তবে প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
পুরো উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে আগামী এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। দিল্লি সংলগ্ন উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদেও ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। গাজিয়াবাদ-দিল্লিতে চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।