মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কাজী রাসেল আহমদ নোবেল, কথিত কণ্ঠশিল্পী মীমকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। কক্সবাজার সদর মডেল থানায় তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারী বিকেলে তাদেরকে কক্সবাজার কোর্ট ইন্সপেক্টরের মাধ্যমে আদালতে প্রেরণ করা হয়। আদালতের সদর জিআর কোর্টের দায়িত্বরত বিচারক চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ভা.) রাজীব কুমার বিশ্বাস চার্চ ওয়ারেন্ট মূলে আসামী কাজী রাসেল আহমদ নোবেল ও কথিত কণ্ঠশিল্পী মীমকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। পরে আসামীদ্বয়কে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। বিষয়টি কক্সবাজার কোর্ট ইন্সপেক্টর কার্যালয় সুত্র সিবিএন-কে নিশ্চিত করেছেন।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি আবু মোঃ শাহজাহান কবির সিবিএন-কে জানান, এরআগে ধৃত আসামী কাজী রাসেল আহমদ নোবেল ও কথিত কণ্ঠশিল্পী ঢাকার দোহারের বাসিন্দা মীমকে গ্রেপ্তারকৃত আসামী এবং আরো ১০ জন পলাতক আসামী সহ মোট ১২ জনকে আসামী দেখিয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ২০১২ সালের মানবপাচার আইনের ৭/৮ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার থানা নম্বর : ৯৮/২০২০, যার জিআর মামলা নম্বর ১৯৮/২০২০ ইংরেজি। ওসি আবু মোঃ শাহজাহান কবির সিবিএন-কে জানান, কথিত কণ্ঠশিল্পী মীম বিভিন্ন এলাকার তরুণীদের প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে মানবপাচার ও যৌনকর্মে বাধ্য করতো বলে তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া আসামী কাজী রাসেল আহমদ নোবেল ও কণ্ঠশিল্পী মীমকে গ্রেপ্তার করার সময় যারা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে গেছে তাদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে তাদেরকে মামলায় পলাতক আসামী হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ওসি আবু মোঃ শাহজাহান কবির সিবিএন-কে জানান, মামলায় সদর মডেল থানার এসআই তৈয়মুর আলমকে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কাজী রাসেল আহমদ নোবেল ও কথিত কণ্ঠশিল্পী মীম সহ লাইটহাউজ এলাকার একটি বাড়ি থেকে আটক করা হয়। রোববার ২৩ ফেব্রুয়ারী রাতে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় আটক করা হয়। কাজী রাসেল আহমদ নোবেলের বিরুদ্ধে আগে থেকেই মোরশেদ আহমদ নামক এক ব্যক্তি বাদী হয়ে করা একটি মারামারি মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে।

কাজী রাসেল আহমদ নোবেল কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য, কক্সবাজার পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী মোরশেদ আহমদ বাবু’র ছোট ভাই। কাজী রাসেল আহমদ নোবেল বিগত কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গ্যাস সিলিন্ডার প্রতীক নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নিয়ে হেরে যান। তিনি কক্সবাজার কটেজ মালিক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি। তার পিতা মরহুম কাজী তোফায়েল আহমেদ ছিলেন-কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের নেতা।