আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চীনের প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাসে নতুন করে আরও ১৬১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭৬৩ জনে।

সোমবার দেশটির কর্মকর্তারা এ ভাইরাসে আরও দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং দেশটিতে মৃতের সংখ্যা সাতজনে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে রোববার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং আরও বেশি মৃত্যুর বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন কর্তৃপক্ষকে এই প্রাদুর্ভাবের বিস্তার রোধে ‘অভূতপূর্ব ও শক্তিশালী’ পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

চীনের মূল ভূখণ্ডের পর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ইরানে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার নতুন ১৫ জনসহ দেশটিতে এখন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৩ জন।

চীন থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে ইরানে ৮ জনের মৃত্যু এবং ৪৩ জন সংক্রমিত হওয়ার মহামারি আতঙ্কে প্রতিবেশী তিন দেশ-আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং তুরস্ক, ইরানের সাথে তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে।

এদিকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ইতালিতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট তিনজনের মৃত্যু হলো। সর্বশেষ রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মিলানের লোম্বারদিয়া অঞ্চলের ক্রেমনা প্রভিন্সে এক নারীর মৃত্যু হয়।

ইতালির গণমাধ্যম জানিয়েছে, এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনাভাইরাসে প্রায় ১৫০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে লোম্বারদিয়া অঞ্চলে ১১২ জন, ভেনেতো অঞ্চলে ২৫ জন, পিওমন্তে অঞ্চলে ৬ জন, লাছছিও অঞ্চলে দুজন এবং এমিলা রোমানিয়া অঞ্চলে ৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। লোম্বারদিয়া অঞ্চলে দুজন এবং ভেনেতো অঞ্চলে একজনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে।

চীনের পর দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। চীনে এখন আক্রান্তের সংখ্যা ৭৭ হাজারের বেশি। এছাড়া জাপানে ডায়মন্ড প্রিন্সেস নামের এক প্রমোদতরীতে শত শত যাত্রী আক্রান্ত হওয়ার পর সেখানেও ছয় শতাধিক মানুষ চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটিতে সংক্রমিত।

দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর দায়েগুর এক ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং একটি হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট আরও অনেকে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হতে পারেন বলে শঙ্কা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী শহর উহান থেকে প্রথমবারের মতো ধরা পড়ে নভেল করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত বিশ্বের অন্তত ৩০টি দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। উহানের একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে আড়াই হাজার দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধু চীনের মূল ভূখণ্ডেই মারা গেছেন দুই হাজার ৪৬৫ জন। বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮ হাজার।