সৈয়দুল কাদের:
ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান এমপি বলেছেন, কালারমারছড়ায় অধিগ্রহনকৃত জমির মূল্য মৌজা ভিত্তিক সমতা আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। এটি বাস্তবায়ন করতে ভূমি মন্ত্রণালয় ও এনজিও সংস্থা প্রত্যাশীকে নিয়ে একটি কমিটি করা হবে। এই কমিটিই জমির মূল্যের সমতা আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। জমি অধিগ্রহনে ৮ ধারা জারির পর কোন মামলা গ্রহনযোগ্য হবে না। তখন যা মামলা করা হয় তা হয়রানি করা জন্য। এমন সুযোগ পেলে দূনর্ীতি আরো বৃদ্ধি পাবে।

 

তিনি আরো বলেন, যারা খাস জমি লিজ নিয়ে অবকাঠামো করেছেন তাদের ক্ষতিপুরণের আওতায় আনা হবে। কোন জমির মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হউক তা প্রধানমন্ত্রী কোনভাবেই চায় না। দেশের উন্নয়নের জন্য যারা জমি দিচ্ছেন এরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নীতিই হচ্ছে উন্নয়ন ও দেশকে এগিয়ে নেওয়া। তিনি গতকাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা রাজস্ব বিভাগের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এ কথা বলেন। এর আগে তিনি কালারমারছড়ায় অধিগ্রহনকৃত জমির মালিকদের সাথে কথা বলেন।

এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক অধিগ্রহনকৃত জমির মূল্যের মৌজা ভিত্তিক সমতার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন।

এ সময় তিনি বলেন দেশের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়েছেন এলাকার লোকজন। তাই জমির মূল্য এক এলাকায় একেক রকম নির্ধারণ হলে জমির মালিকদের মাঝে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে।
জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্ত ন্যায্য দাবি আদায় পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সরওয়ার আজিম জানিয়েছেন কালারমারছড়া ইউনিয়নের কালিগঞ্জ, কালারমারছড়া, ঝাপুয়া ও ইউনুচখালী মৌজার ১৪ শত একর জমি কোল পাওয়ার জেনারেশন অধিগ্রহনের জন্য ৭ ধারা নোটিশ বিলি করেছে। এতে জমির ক্ষতিপুরণ একর প্রতি আড়াই কোটি না হলে জমির মালিক ও জমির উপর নির্ভরশীল লোকজন চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এ ব্যাপারে মন্ত্রীকে জমির মালিকদের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সম্প্রতি জমির মালিকরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।