আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চীন থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে প্রায় আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যুর পর এই সংকটকে কমিউনিস্ট চীন প্রতিষ্ঠার পর দেশটির জন্য সবচেয়ে বড় ‘জনস্বাস্থ্য বিপর্যয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বৈশ্বিক এই মহামারির পর দ্বিতীয়বারের মতো এ নিয়ে কথা বললেন তিনি।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রচারমাধ্যম সিসিটিভির রোববারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনাভাইরাস মোকাবিলা নিয়ে অনুষ্ঠিত শীর্ষ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে শি জিনপিং বলেন, ‘এটা (করোনাভাইরাস) দ্রুত ছড়ানোর মাধ্যমে ব্যাপকভাবে সংক্রমিত করার ক্ষমতা রাখে, তাই এর প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করাটা বেশ কঠিন।’

সিসিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী তিনি আরও বলেছেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চীনের অক্ষমতার বিষয়টিও সামনে এসেছে। দেশটির কোনো নেতার মুখ থেকে এরকম কথা সাধারণত শোনা যায় না। তবে চীনের গণমাধ্যমে যে জিনিপিংয়ের মুখ প্রতিদিন দেখা যেত, মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর দুই মাসে দ্বিতীয়বার এ নিয়ে মন্তব্য করলেন তিনি।

হংকংভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মনিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকার এবং সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে তিনি টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে ওই বৈঠকটি করেন। বৈঠকে যুক্ত সবার উদ্দেশে দেশের এই জরুরি স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তবে তিনি এও জানিয়েছেন যে, মহামারি এই সংকট সত্ত্বেও চীন চলতি বছরে তার অর্থনৈতিক ও সামাজিক লক্ষ্য বাস্তবায়নের চেষ্টা করে যাবে। বৈঠকটিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং। এছাড়া চীনে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী পর্ষদ ‘পলিটব্যুরো স্টান্ডিং কমিটি’র সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে চীনে এখন আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৭৬ হাজার ৯৩৬ জন। এছাড়া এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৪৪২। বিশ্বের ২৯টি দেশে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। এসব দেশে ২১ জনের মৃত্যু ছাড়াও আক্রান্ত হয়েছেন আরও প্রায় ১ হাজার ৮৬৪ জন।