বার্তা পরিবেশক: 

জায়গা জমি সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে পুলিশের এক এএসআই এর কিরিচের বেপরোয়া আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত দু’সহোদর এখন কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। মাথা, চোয়াল ও ডান হাতের কব্জি কেটে দেয়া গুরুতর আহত হাফেজ আবু দারদা (৩৫) চিরদিনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেছে। আরেক ভাই আবদুল্লাহ আল নোমান (৩০) এর ঘাঁড়ের রগের বেশ কিছু অংশ কেটে গেছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারী সকাল সাড়ে ১০ টায় কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বৈরাগীরখীল গ্রামে শালিসি বেঠকে পুলিশের এএসআই বখতিয়ার উদ্দিন প্রকাশ ভুট্টু তার দলবল নিয়ে এই ন্যাক্কারজনক হামলা চালায়।

হামলায় পাশ^বর্তী গ্রাম রং মহলের মরহুম ডাক্তার আবু তাহেরের বৃদ্ধা স্ত্রী রহিমা আক্তার, তিন পুত্র হাফেজ আবু দারদা, আবদুল্লাহ আল নোমান, কামরুল হাসান, পুত্র বধু ইয়াছমিন আক্তার গুরুতর আহত হয়। শালীসি বৈঠকে হামলায় নেতৃত্ব দেয়া পুলিশের এএসআই বখতিয়ার ভুট্টু ও আহত আবু দারদা, নোমানরা সম্পর্কে আপন মামাতো-ফুফাতো ভাই। বর্বরোচিত-ন্যাক্কারজনক এই হামলার ঘটনায় পুরো ডুলাহাজারায় সাধারন জনমনে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের এএ্সআই ডুলাহাজারার বৈরাগীরখীল গ্রামের মৃত ফয়েজ আহমদের পুত্র, উখিয়ার ময়না ঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত বখতিয়ার উদ্দিন ওরফে ভুট্টুকে প্রধান আসামী করে হামলাকারী ১০ জনের নাম উল্লেখ করে আবদুল্লাহ আল আরমান বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

এদিকে ঘটনার এক সপ্তাহ ফেরিয়ে গেলেও বর্বরোচিত হামলার ঘটনার নায়ক পুলিশের এএসআই জুলফিকার ভুট্টু এখনো গ্রেফতার হয়নি। মোবাইলের সিম পাল্টিয়ে উখিয়ার ময়না ঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দিব্যি ডিউটি করে যাচ্ছেন এএস আই বখতিয়ার ভুট্টু। শুধু তাই নয়- প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত এই সত্য ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে, অপরাধ ঢাকতে এএস আই বখতিয়ার তার স্ত্রী ও মামলার আসামী রেহেনা পারভিন লিপিকে বাদী সাজিয়ে গুরুতর আহতদের আসামী করে উল্টো চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী- ছৈয়দুল হক মুরাদ জানান- পারিবারিক বিরোধীয় জমি নিয়ে এদিন শালিসি বৈঠকে দু’পক্ষের তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে আকস্মিক আমার আপন ভাগিনা পুলিশের এএসআই বখতিয়ার উদ্দিন ভুট্টু ও জসিম খোলা কিরিচ হাতে দলবল নিয়ে আমার ভাতিজা হাফেজ আবু দারদা, নোমানদের উপর হামলে পড়ে। আমার চেখের সামনেই বখতিয়ারের কিরিচের কোপে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায় আমার ভাতিজারা। আইনের লোক হয়ে বখতিয়ার ভুট্টু এই কাজ করতে পারেন না।

এদিকে দু’পক্ষের দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, চকরিয়া থানা পুলিশের এসআই মোঃ মহসিন জানান-দু’পক্ষের মামলার ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রকৃত তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।