বার্তা পরিবেশক :
টেকনাফের সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলন ও কাউন্সিলে বিপুল ভোটে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা জাহিদ হোসেনকে বাদ দিয়ে নাটকীয় পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করার অভিযোগ উঠেছে। এতে নেতাকর্মিদের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এ কমিটিকে কেন্দ্র করে একমাত্র প্রবাল দ্বীপে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।

নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর কেন্দ্রিয় ঘোষনার আলোকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তক্রমে জেলা ও উপজেলা নেতাকর্মিদের উপস্থিতিতে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন শাখার সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন হয়। ওইদিন দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলদের ভোটে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছি।

এরপর থেকে বিভিন্ন সভা সমাবেশ ও দলীয় কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে আসছি। এমতাবস্থায় হঠাৎ করে কালো টাকার বিনিময়ে কাউকে কোন কিছু অবগত করে পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করে। এ কমিটি আমি মানিনা। আমি জেলা আওয়ামী লীগকে লিখিত অভিযোগ করতেছি। প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নেব।

এদিকে সেন্টমার্টিনে এখবর ছড়িয়ে পড়লে তৃনমূল নেতাকর্মিদের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার জিনজিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিলনায়তনে সকাল ১০ টায় সেন্টমার্টিন আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মুজিবের সভাপতিত্বে ১ম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-সাবেক সাংসদ টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ, সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাষ্টার শামসুল ইসলাম, টেকনাফ পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাংবাদিক জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল আমিন, সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আক্তার কামাল।

ওইদিন দুপুর ২ টায় ২য় অধিবেশন শুরু হয়। ব্যালট পেপারের মাধ্যমে নিজ নিজ ভোটার প্রার্থীদের ভোট প্রদান করেন।

তখন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে সৈয়দ আলম (মাছ) ৬৭ ভোট, জাহিদ হোসেন (তালা) ১০৬ ভোট, শাহ আলম (ফুটবল) ১২ ভোট ও কবির আহমদ (চাকা) ১৮ ভোট পেয়ে প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। দীর্ঘ ২ ঘন্টা ভোটাররা ভোট প্রদান করেন। ভোট গননা শেষে নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিক জাবেদ ইকবাল চৌধুরী জাহিদ হোসেন তালা প্রতীক নিয়ে ১০৬ ভোট সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।