নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজারের স্বনামধন্য হিফজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল আরক্বম তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার (বালক ও বালিকা শাখার) বার্ষিক শিক্ষা সফর সম্পন্ন হয়েছে।
২০২০ সালের ভাষার মাসের ২০ তারিখ পর্যটন শহরের সৌন্দর্যের রাণী ইনানী পাটুয়ারটেক বীচে ফুলকলিদের মিলনমেলা ঘটেছিল। আনন্দ উল্লাসে মেতেছিল খুদে হুফফাজরা।
শিক্ষার্থীদের বার্ষিক আনন্দ ভ্রমণে সারথি হন শিক্ষকেরাও। ভিন্নমাত্রার এই আয়োজনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে তৈরি হয় নতুন মেলবন্ধন।
পড়ালেখার চাপে থাকা শিক্ষার্থীদের একটু মুক্ত বিচরণের বর্ণাঢ্য আয়োজনটি করেন দারুল আরক্বমের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শাইখ হাফেজ মুহাম্মদ ইউনুস ফরাজী। যিনি শুধু শিক্ষক নন, একজন বিদগ্ধ সংগঠক হিসেবেও পরিচিত।
২০ ফেব্রুয়ারী সুবহে সাদিকের পর থেকে শিক্ষা সফরের উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি নিতে থাকে দারুল আরক্বমের দুইটি শাখার দেড়শতাধিক শিক্ষার্থী।
ছাত্রদের মাথায় পাগড়ী, গায়ে জুব্বা-পাঞ্জাবি ও পরণের জামা খুবই চমৎকার দেখাচ্ছিল।
ঐশী গ্রন্থ কোরআনের শুদ্ধ তিলাওয়াত ও ইসলামিক গজল-গানে মুখরিত করে পর্যটন নগরী।
সাগর তীরে ছোট্টমনিদের হই হুল্লোড়, ফুটবল খেলা বেশ আকর্ষনীয় ছিল।
খেলা ও আনন্দে মেতে হাফেজে কুরআনরা ক্লান্ত, ঠিক তখনই ইনানী বীচ পার্কে তাদের দেয়া হয় দুপুরের খাবার। একসঙ্গে আদায় করে জোহরের নামাজ।
দুপুরের খাবার দাবারের পর ঝর্ণা এলাকায় কুরআন তিলাওয়াতের আয়োজন বেশ মজা হয়ে উঠেছিল। বালিকা শাখার ছাত্রীদের যৌথ সংগীত পরিবেশনা ছিল সত্যিই প্রশংসনীয়। অনুপ্রেরণাদায়ক বক্তব্য রাখেন শিক্ষকবৃন্দ। অনুভূতি প্রকাশ ও নির্দেশনামূলক বক্তৃতা করেন আমন্ত্রিত অতিথিরাও। বিকেলে নিরাপদে ফিরে আপন নীড়ে।
সুন্দর এই আয়োজনের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে দারুল আরক্বমের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ ইউনুস ফরাজী বলেন, পবিত্র কুরআনে বর্ণিত আছে যে, ‘তোমরা বিচরণ কর আল্লাহর জমিনে। দেখো তার নিদর্শনসমূহ।’
ঠিক এই আয়াতকে সামনে রেখে প্রতিবছর মাদরাসার সুন্দর সুন্দর আয়োজন করা হয়। ছাত্রদের মানসিক ভাবে সুস্থ ও সুন্দর মন মেধা বিকাশের জন্য এ আয়োজন করা হয়। আয়োজনে দুই শাখার দেড়শতাধিক ছাত্র ছাত্রী আনন্দের সঙ্গে অংশগ্রহণ করে।
পেশকার পাড়া শাখার সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কাশেম এবং সদস্য হাফেজ মুদ্দাস্সির সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
প্রবাসী মাস্টার শহীদুল্লাহ ছুটিতে এসে এমন সফর দেখে অনেক খুশি হন।
হাফেজ মিসবাহ উদ্দীন এবং মাওলানা এশতিয়াকের অতুলনীয় পরিশ্রম বার্ষিক আয়োজনকে সফল ও সার্থক করে তোলে। বর্ণাঢ্য আয়োজনের যারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান হাফেজ মুহাম্মদ ইউনুস ফরাজী।